দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজারকে মারধর, খুনের হুমকি। তার জেরে, চারদিন ধরে টানা বন্ধ স্টেট ব্যাঙ্কের সালারের খাঁড়েরা শাখা। তার ফলে আতান্তরে পড়েছেন গ্রাহকরা।
ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের এক স্থানীয় কর্মী সামসুল হুদা। কিন্তু, ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। ফলে সমস্যার সমাধান কোন পথে তা ভেবে পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
ব্যাঙ্ক ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ওই শাখায় সামসূল হুদা অনুগামী পরিবৃত হয়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাকে নিয়ে ব্যাঙ্কে যায়। ওই শাখার ম্যানেজার অশোক সিংহের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সামসুল।
অভিযোগ, তারপরেই সামসুল অশোকবাবুকে মারধর করে। ব্যাঙ্কের দুই নিরাপত্তা কর্মী বাধা দিতে এলে সাসসুলের অনুগামীরা ধাক্কা মেরে তাঁদের সরিয়ে দেয়। তারপরেই সে অশোকবাবুকে খুনের হুমকি দেয়। আতঙ্কিত অশোকবাবু পুরো বিষয়টি উপরতলায় জানান। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তার পর থেকেই ওই শাখাটি বন্ধ করে রেখেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই গ্রাহকরা বিভিন্ন কাজে ব্যাঙ্কে আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে অশোকবাবু কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
তবে স্টেট ব্যাঙ্কের মুর্শিদাবাদ ১ নম্বর রিজিওন্যাল ম্যানেজার এস এম নবি বলেন, “ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সামসূল হুদা নামে এক বাসিন্দা মাঝে মধ্যেই ওই শাখায় গিয়ে ম্যানেজারের সাথে অশান্তি করে। ম্যানেজারকে মারধর, খুনের হুমকি, নিরাপত্তা কর্মীদের আক্রমণ— সব মিলিয়ে আমার আতঙ্কিত।’’
কিন্তু, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সামসুলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করল না কেন? এস এম নবি বলেন, “দিনের বেলায় প্রকাশ্যে যেখানে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি কী করে?” তা হলে ব্যাঙ্কের ওই শাখা কতদিন বন্ধ থাকবে? কোনও উত্তর মেলেনি।
অভিযুক্ত সামসূল হুদা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে এলাকার দু’শো বাসিন্দা ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু ওই শাখার ম্যানেজার ছ’ মাস ধরে তার অনুমোদন দিচ্ছেন না। সেদিন তিনি আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। তাতে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। আমি বা আমরা কাউকে মারধর করনিনি।’’
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেনকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy