Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Death

বাবাকে ডুবে যেতে দেখে জলে ঝাঁপ দুই কিশোরীর, মাছধরা জালে আটকে লালবাগে মৃত তিন জনই

পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে গিয়েছিলেন বাবা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে গেলেন তাঁর দুই কন্যাও। সোমবার এই ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের লালগোলার মুকিমপুর এলাকায়।

জলে ডুবে বাবা এবং তাঁর দুই কন্যাসন্তানের মৃত্যু।

জলে ডুবে বাবা এবং তাঁর দুই কন্যাসন্তানের মৃত্যু। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লালগোলা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২০
Share: Save:

পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে গিয়েছিলেন বাবা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে গেলেন তাঁর দুই কন্যাও। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলার মুকিমপুর এলাকায়। তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাঁচানো যায়নি তাঁদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ নিজের ভুট্টা ক্ষেতে কাজ সেরে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন মুকিমপুরের বাসিন্দা রিয়াজউদ্দিন শেখ (৪৫)। সেই সময় পুকুরের পাড়ে খেলা করছিল তাঁর দুই কন্যা নাসিফা খাতুন (১১) এবং অন্বেষা খাতুন (৮)। স্নান সেরে পাড়ে ওঠার সময় রিয়াজ পা ফসকে জলে তলিয়ে যান। তা দেখে বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যায় তাঁর দুই মেয়ে। তখন তিন জনই একসঙ্গে জলে ডুবে যান বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে তিন জনের কেউই সাঁতার জানতেন না। পুকুরে জেলেদের মাছধরার জন্য পাতা জালে আটকে যান ওই তিন জন। পরে তাঁদের ডিঙি নৌকায় করে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। তিন জনকে উদ্ধার করে লালবাগ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

স্বামী এবং দুই সন্তানকে হারিয়ে নাসিমা বিবি বলেন, ‘‘ওকে ভাত খেয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু না খেয়ে ওরা পুকুরে চলে গেল। মেয়ে দুটো ওখানেই খেলা করছিল। ওরা বাবাকে চোখে হারাতো। সাঁতার জানতো না কেউ। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে ওরাও চলে গেল!’’ ওই তিন জনকে যে মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করেন তাঁরা জানিয়েছেন, রিয়াজ এবং তাঁর দুই কন্যা কচুরিপানায় আটকে গিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death drowning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE