হাঁসখালি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতীকী চিত্র।
হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ অংশুমান বাগচি। দু’দিন আগে বহু খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে কৃষ্ণনগর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। যা নিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বিকৃতির অভিযোগ তুললেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, সিবিআইয়ের কথা মতো জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর ৭০ বছরের মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে।
সম্প্রতি হাঁসখালি-কাণ্ডে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও নাম রয়েছে ধৃত অংশুমানের। হাঁসখালি-কাণ্ডে মোট নয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৩ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে অভিযুক্ত অংশুমানকে ‘ফেরার’ বলে উল্লেখ করা হয়। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, নির্যাতিতার মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া থেকে দাহপর্ব— এই সমস্ত পরিকল্পনাই নাকি বৃদ্ধ অংশুমানের। তাই, মামলা দায়ের হওয়ার ৮৮ দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত সোমবার জেল হেফাজতে থাকা বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে অংশুমানকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। সিবিআই ও অভিযুক্তদের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারক সুতপা সাহা। তিনি ধৃতদের ১৬ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা প্রভাব খাটিয়ে তদন্তকে বিকৃত করছে। অংশুমান বাগচীর উপর চাপ তৈরি করা হয়। কিন্তু সিবিআইয়ের শিখিয়ে দেওয়া জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।’’ ওই আইনজীবীর আরও দাবি, তাঁর মক্কেল শ্মশানবন্ধু হিসেবে গিয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সিবিআই চার্জশিটে রয়েছে, গত এপ্রিলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওই কিশোরীকে কোকেন জাতীয় নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এমনকি, তার যৌনাঙ্গে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অথচ, মৃতার মা অভিযোগপত্রে এ ধরনের কোনও কথা উল্লেখ করেননি। অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘ওই রাতে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন কিশোরীর মা। তিনি মেয়ের ঋতুস্রাব ও পেটে ব্যথার কথা জানিয়েছিলেন। সে দিন কেন মেয়ের প্রকৃত সমস্যার কথা জানাননি?’’
সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের তরফে আইনজীবী প্রবুদ্ধশীল রাও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আগামী ১৬ জুলাই আদালত কক্ষে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy