পুলিশ আটক করেছে প্রধানশিক্ষক রঘুপতি সর্দারকে। —নিজস্ব চিত্র।
ক্লাসঘরে চাকু এবং আরও একটি ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পড়ুয়াদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে এ নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে স্কুল ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন অভিভাবকেরা। ছুটে এল পুলিশও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শমসেরগঞ্জের ৪৬ নম্বর শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের প্রধানশিক্ষক রঘুপতি সর্দার বেশ কয়েক ধরেই পড়ুয়াদের সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও এক বার বিক্ষোভ হয় স্কুলের অন্দরে। তবে শনিবার নাকি চাকু এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে পড়ুয়াদের ভয় দেখাতে শুরু করেন ওই প্রধানশিক্ষক। রঘুপতির এমন আচরণে ভয় পেয়ে যায় কচিকাঁচা পড়ুয়ারা। প্রধানশিক্ষকের এই ‘শাসন’ জানাজানি হতেই স্কুলে দৌড়ে আসেন অভিভাবকেরা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হতেই ভয় পেয়ে একটি ঘরের দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে পড়েন রঘুপতি। খবর পেয়ে ওই স্কুলে ছুটে আসে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তার পরেই ওই শিক্ষককে ‘উদ্ধার’ করে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে রঘুপতিকে পরে আটক করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, অবিলম্বে ওই প্রধানশিক্ষককে বরখাস্ত কিংবা অন্যত্র বদলির দাবিতে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। রমজান আলি মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুলের মধ্যে ক্লাসে ক্লাসে ছুরি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রধানশিক্ষক! এমন ভয়ানক দৃশ্য এই পৃথিবীতে কেউ দেখেছেন কিনা সন্দেহ আছে। ওঁর মানসিক স্বাস্থ্য কী রকম, তার পরীক্ষা করা হোক এবং অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’
তবে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক রঘুপতির বক্তব্য, ‘‘এমন কিছুই ঘটেনি! অবাধ্য পড়ুয়াদের শাসন করতে যা করার দরকার, তাই করা হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy