গাছে দেওয়া হচ্ছে ফোঁটা। শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র
ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনার দিন ছিল শুক্রবার। শুধু নিজের পরিবার বা প্রিয়জনের জন্য দীর্ঘায়ু কামনা নয়, পরিবেশকে বাঁচাতে গাছকেও বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। আর সেই সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিল শান্তিপুরের একটি সংস্থা। ভাইফোঁটার মতো গাছকে ফোঁটা দিয়েই গাছ বাঁচানোর সঙ্কল্প নিলেন শতাধিক মানুষ।
ভাইফোঁটার মতো অনুষ্ঠানে নিজের পরিজনের ভাল থাকার এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। সেই রকম গাছকেও নিজেদের পরিজন মনে করলে গাছ বাঁচানোয় উৎসাহ পাবেন মানুষ— এই ধারণা থেকে শনিবার এই অভিনব উদ্যোগ শান্তিপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা নদিয়ার যুগবার্তার। এ দিন তাদের তরফে আয়োজিত হয় ভাইফোঁটা, বোনফোঁটা, গাছফোঁটা উৎসব। শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ, শারীরিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষ— আয়োজনে বাদ গেলেন না কেউই।
এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় শতাধিক মানুষ। উদ্যোক্তাদের কথায়, ভাইফোঁটার দিনে বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেয়। বোনেরাই বা বঞ্চিত হবেন কেন? সেই কারণে এদিন বোনফোঁটারও আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, গাছকেও ফোঁটা দিলেন বহু মানুষ।
প্রথমে একটি ছয় মাসের ও একটি দেড় বছরের শিশুর হাত দিয়ে গাছকে ফোঁটা দেওয়ানো হয়। এর পর গাছকে ফোঁটা দেন উপস্থিত বেশ কিছু শারীরিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষেরা।
আয়োজনে গল্পপাঠ করেন রাত্রি চট্টোপাধ্যায়। পরিবেশ এবং গাছ বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন পরিবেশকর্মীরা। উপস্থিত শ্রীদত্তা সেন, মোহর দে বিশ্বাস, শম্পা রায়েরা বলেন, “গাছ বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ভাবে গাছের সঙ্গে একাত্মতাও গড়ে তোলা যায়। আত্মীয়-পরিজনদের যেমন আমরা সবসময় সুরক্ষিত রাখতে চাই। তেমনই গাছের সঙ্গেও নিবিড় বন্ধন তৈরি হলে মানুষ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন।’’ সংস্থার সম্পাদক সঞ্জিত কাষ্ঠ বলেন, “যত মানুষ গাছ কাটেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ গাছ লাগান। তবুও নানা জায়গায় কখনও রাস্তা, কখনও সেতু তৈরির জন্য বৃক্ষচ্ছেদন চলছেই।’’ তাঁর আক্ষেপ, বাগানেও গাছ কাটছেন বহু মানুষ। তা রুখতেই এই প্রচেষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy