সেজে উঠেছে কল্যাণী এমস। — নিজস্ব চিত্র।
এমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মী ও পদাধিকারীদের জমায়েত করা হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সেই মতো দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে বার্তাও দেওয়া হয়।
কিন্তু রবিবার দুপুরে ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুর দিকে দলীয় কর্মীদের মঞ্চের সামনে জমায়েত হতে দেখা গেলেও বিকেল গড়াতেই ফাঁকা হতে থাকে এমস চত্বর। তবে উদ্বোধন মঞ্চে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর প্রমুখ হাজির ছিলেন। তবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই উদ্বোধন নিয়েও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী কল্যাণী এমসের উদ্বোধন করলেন, তা নিয়েও বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। ২০১৬ সালে প্রায় ১৮০ একর জমিতে শুরু হয় এমস তৈরির কাজ। তখন থেকেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। উদ্বোধনের আগের দিন, শনিবার পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণী এমসকে এখনই ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়।"
আবার এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, "সাধারণ মানুষ যাতে বিনা খরচে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা পায়, সেই জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ।" তাঁর কথায়, "রাজ্য এমসের জন্য জমি দিয়েছে, কিন্তু দূষণের ছাড়পত্র দেয়নি।" বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা কটাক্ষ, "নতুন করে এমসের উদ্বোধন মানে ছাদনাতলায় অন্নপ্রাশনের মতোই। লোকসভার আগে এটা সস্তার রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।"
এমস সূত্রের খবর, এই হাসপাতালের মোট ৯৬০ শয্যা অনুমোদিত থাকলেও উদ্বোধনের পর প্রথম পর্বে ৩৬০ শয্যার অন্তর্বিভাগের পরিষেবা মিলবে। ইতিমধ্যে তার ৭০ শতাংশ চালু হয়েছে বলে এমসের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু করতে অন্তত আগামী চার-পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদের ডাকা-না ডাকার বিতর্ক এ দিনও এড়ানো যায়নি। বিজেপি বিধায়ক, নেতাকর্মীরা এ দিন এমসে হাজির থাকলেও তৃণমূলের কোনও বিধায়ক এমনকি কল্যাণী, হরিণঘাটা, গয়েশপুরের তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুরসভার পুরপ্রধানদের সেখানে দেখা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy