নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে আগুন।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এক অভিযুক্তের খোঁজে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশ। গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বেলডাঙা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সান্ত্বনা ঘোষের ছেলে শুভজিৎ ঘোষের। তাঁর খোঁজেই শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সান্ত্বনার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযান চালালেও শুভজিৎকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়, গ্রেফতার করা তো দূরঅস্ত্, শুভজিতের দেখাই মেলেনি। পুলিশি হানার সময় ছেলের বাড়িতে না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সান্ত্বনা। বেলডাঙার এসডিপিও তুলসিদাস ভট্টাচার্যও বলেছেন, ‘‘পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু শুভজিৎকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।’’
নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতার দুই পুলিশকে মারধর এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনকে শনাক্ত করেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রেই খবর, মূলত সিসি ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ছবি-ভিডিয়ো ঘেঁটেই তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। সেই ভাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে শুভজিৎকে। কিন্তু সান্ত্বনার দাবি, নবান্ন অভিযানের কোনও ঘটনার সঙ্গেই তাঁর ছেলে যুক্ত নন। ওই কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘আমার ছেলে সে দিন ওখানে ছিলই না।’’
এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারব সরকার বলেন, ‘‘মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ত্রিশঙ্কু থাকা বেলডাঙা পুরসভাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। বোর্ড গঠনের সময় সান্ত্বনাদেবীকে ভয় দেখিয়ে বাগে আনতে না পেরে ছেলেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘আইনভঙ্গকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকলে নিশ্চয়ই ওঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy