জমেও জমছে না ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীদের মেজাজ চড়িয়ে দিচ্ছে লোডশেডিং। গত দিন দশেক বহরমপুর, বেলডাঙা-সহ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। সারাদিনে কোনও মতে ব্যবসা চললেও, বিকেলের পর বিদ্যুৎ চলে গেলে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’তরফই।
আর ১০ দিন পরে রমজান মাস শেষে ঈদ-উল-ফিতর উৎসব। তাকে ঘিরে এলাকার দোকানগুলোয় ভিড় উপচে পড়ার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্রেতা পেতে মাথার ঘাম ছুটছে ব্যবসায়ীদের। বর্ষায় এমনিতেই সন্ধ্যার পর বৃষ্টির জেরে লোকজন বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তার উপর লোডশেডিং-এর থাবায় ক্রেতারা দোকানমুখো হচ্ছেন না।
বেলডাঙার বাসিন্দা ও পোশাক ব্যবসায়ী বিভাস মন্ডল বলেন, ‘‘সকাল থেকে টানা লোডশেডিং চলে। সন্ধ্যার সময় ঘনঘন কারেন্ট যায় আবার আসে। অন্ধকারের সুযোগে দোকানের মাল চুরি যায়। আবার লোডশেডিং হওয়ায় বেচাকেনাও কম হয়। এতে ক্ষতি দু’দিক দিয়ে।’’ বিশেষ করে কারেন্ট চলে গেলে সিসিটিভি-ও চলে না। তাই চুরি ধরা পড়ার সম্ভাবনা আরও কম। সন্ধ্যার পর আধঘণ্টায় তিন বারের বেশিও কারেন্ট যাওয়া-আসা করছে। তাঁর অভিযোগ, অন্য বছরের তুলনায় এ বার অন্তত ৪০ শতাংশ ক্রেতা কম।
জেলার চেম্বার অব কমার্সের সংগঠন সম্পাদক ও বহরমপুরের বাসিন্দা প্রদ্যোৎ দে বলেন, ‘‘এখন শহরের অনেক দোকানই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। বিকল্প আলোর ব্যবস্থা দোকানে থাকলেও এসি চালানোর অবস্থা থাকে না। ফলে ক্রেতাদের সমস্যা হচ্ছে।’’ দিনের বেলায় সমস্যাটা আবার ছোট ব্যবসায়ীদেরই বেশি, কারণ তাদের নিজস্ব জেনারেটর নেই। ভাড়ার জেনারেটরকে মাসিক কিছু টাকা দিয়ে আলো-পাখা চলে। কিন্তু জেনারেটর চলে কেবল সন্ধ্যার পর। দিনে কিছু মেলে না।
কেন ঘনঘন লোডশেডিং? বিদ্যুৎ দফতরের বহরমপুর ডিভিশনের ম্যানেজার সুকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘বড় কোন ত্রুটির খবর নেই। কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি।’’ তবে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বেলডাঙা থেকে নওদা থানার আমতলা যেতে পাওয়ার হাউসের কাছে বিদ্যুতের তার ঝড়-বৃষ্টিতে এতটাই ঝুলে গিয়েছে, যে তা গাছের সঙ্গে লেগে গিয়েছে। কোন জায়গায় সমস্যা হচ্ছে, তা ধরতে সময় লাগল। এ বার সেখানে খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হবে। দিন দুয়েকের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ঠিক সময়ে বিদ্যুতের হাল না ফিরলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy