—প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি ঢুকেই যেন তড়িদাহত হয়ে যান যুবক। চোখের সামনে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে রাগে ফেটে পড়েন তিনি। শুরু হয় মারামারি। অভিযোগ, যুবকের এলোপাথাড়ি অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর প্রেমিকের। তার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। অন্য দিকে, ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তাঁর নাম বিমল সরকার। তিনি অভিযুক্তের প্রতিবেশী। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার গভীর রাতে তাঁকে অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে দেখে ফেলেন। তার পর তিন জনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। সেই সময় আচমকা ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র হাতে তুলে নেন বাড়ির কর্তা। তার পর তিনি স্ত্রীর প্রেমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাড়ির সামনে রাস্তাতেই বিমল নামে ওই যুবককে কোপাতে থাকেন তিনি। চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন জখম বিমলকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মাথায় এবং ঘাড়ে একাধিক জয়গায় ক্ষত ছিল ওই যুবকের। স্থানীয়রাই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নাকাশিপাড়া বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল পর্যন্ত আর পৌঁছোনো হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় বিমলের। এর মধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা বিমল পেশায় রাজমিস্ত্রি। বেশ কিছু দিন ধরে প্রতিবেশী ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা শোনা যায়। বিষয়টি মহিলার স্বামীর কানে যাওয়ার পর শুরু হয় অশান্তি। বেশ কয়েক বার এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলাও হয়। কিন্তু তার পরও সোমবার গভীর রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ওই প্রতিবেশীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে মারধর শুরু করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এ নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy