—প্রতীকী চিত্র।
মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন। মারের চোটে মৃত্যু হয় বধূর। এক বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সেই স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বহরমপুরের আদালত।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। সে বছর ১৩ জুলাই রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢোকেন মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার গোবরহাটি গ্রামের বরনোবাস সোরেন। স্ত্রী মন্দিনি মার্ডি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁকে লাঠি এবং ইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে মৃত্যু হয় মন্দিনির। গ্রেফতার হন বরনোবাসও। আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযুক্ত দাবি করেছিলেন, স্ত্রীকে বিড়াল ভেবেই নাকি আঘাত করেছিলেন। যদিও দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ায় আদালত সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। পুলিশ জানায়, সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশ বছর আগে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। তাঁদের তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় মন্দিনিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতার দিদি মনি কিস্কু এই ঘটনায় বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এবং ৩০২ ধারায় মামলা শুরু হয়। অভিযুক্ত বরনোবাস সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে মোট ১৮ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। অবশেষে কান্দি মহকুমা আদালতের বিচারক অরিন্দম দত্ত বরনোবাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি, ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বরনোবাসকে। এবং সন্তানদের ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy