বাংলাদেশের গুলশন কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হতে চলল। কিন্তু বছরখানেক আগের সেই ঘটনাকে আজও দুষছে নদিয়া মুর্শিদাবাদের সীমান্ত ঘেঁষা জনপদ।
সম্বৎসরে একটা মাত্র দিন—ইদ-উল-ফিতর। এই দিনের অপেক্ষায় থাকে লালাগোলা ও মুরুটিয়া-সহ লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। এ দিনই দু’পারের লোকজনকে দেখা করতে দেখা হয়। কাঁটাতারের দু’পারে দাঁড়িয়েই চলে কথাবার্তা, মিষ্টি বিনিময়। কিন্তু গত বছর ১ জুলাই রাতে গুলশনের একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তামাম দুনিয়া। ইদের আগের সেই ঘটনার আঁচ লাগে সীমান্তেও। নিরাপত্তার স্বার্থে দেখা করতে দেওয়া হয়নি দু’দেশের বাসিন্দাদের।
কিন্তু এ বার লোকজন ভেবেছিলেন, আগের মতোই হাজির হবে ইদের সেই দিন। খুশি উপচে পড়বে কাঁটাতারেও। কিন্তু নাহ্, এ বারেও দেখা হল না। স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্তারা বলছেন, ‘‘আমরা বিএসএফকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু হল না।’’ বিএসএফ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কারণেই এই সৌজন্য সাক্ষাৎ স্থগিত রয়েছে।
পাকশি ও লালগোলার মানিকচকে ইদের দিন বহু লোকজন এসেছিলেন। ভেবেছিলেন, দেখা হবে ওপার বাংলার লোকজনের সঙ্গে। কিন্তু দিনভর অপেক্ষায় সার। সকলেই বাড়ি ফিরেছেন মনখারাপ করে। তবে জলঙ্গির ছবিটা অবশ্য গত বারের ইদের মতো ছিল না। গত বছর গুলশনের কারণ দেখিয়ে পদ্মার পাড়ে বিএসএফ কাউকে বেশি রাত পর্যন্ত থাকতে দেয়নি। কিন্তু এ বারে অবশ্য সেখানে ছিল ভালই ভিড়।
ডোমকলের মিরাজুল ইসলামের কথায়, ‘‘গত বার জলঙ্গির পাড়ে বসতে দেওয়া হয়নি। এ বার রাত ১০ টা পর্যন্ত পদ্মাপাড়ে ছিলাম।’’ বসেছিল মেলাও। স্থানীয় ব্যাবসায়ী পিন্টু মণ্ডলের কথায়, ‘‘গত বার গুলশন সব শেষ করে দিয়েছিল। এ বার ভালই বিকিকিনি হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy