—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে ৭ জুলাই খুন হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি ইয়াসিন শেখ (৫৩)। বোমা ছুড়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, রেজিনগর থানার পশ্চিম নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকর্মীদের জন্য খাবার দিতে যাচ্ছিলেন ইয়াসিন। ফেরার পথে নাজিরপুরের রাস্তায় তিনি খুন হন। তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে প্রথমে যে অভিযোগ করে, সেখানে কারও নাম ছিল না। পরে ২৭ জুলাই প্রত্যক্ষদর্শী ও বেশ কয়েক জনের নাম করেই সরাসরি অভিযোগ করা হয়। ইয়াসিনের পরিবারের দাবি, তার পরে প্রায় এক মাস কেটে গেলেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। ইয়াসিনের পরিবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
রেজিনগরের তৃণমূলের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘শুনেছি ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে। প্রকৃত অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায়, ইয়াসিনের পরিবার সেই দাবি জানাচ্ছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘এই খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মৃতের পরিবার। সম্প্রতি পুলিশ সাক্ষগ্রহণের খুঁটিনাটি বিষয় জানাতে গ্রামের কয়েক জনের কাছে যায়। ইয়াসিনের পরিবারের অভিযোগ, সাক্ষ্য যাতে না দিতে পারেন, সেই বিষয়ে সাক্ষীদের কাছে স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে আসে পুলিশ। মৃতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, তাঁরা নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন।
তৃণমূলের হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী হয়েছিলেন কবিতা খাতুন। তাঁর কথায়, ‘‘মৃত ইয়াসিন শেখ আমার শ্বশুরমশায়। গ্রামে পুলিশ এসেছিল। পুলিশ এসে বলছে তোদের স্বামী কোথায়। তাঁদের স্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের স্বামী কাজে গিয়েছেন। হাই কোর্টে যে মামলা হয়েছে তার সাক্ষীদের বাড়িতে অত্যাচার হচ্ছে। মামলা যাতে প্রত্যাহার করা হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ কবিতা বলেন, ‘‘বাড়ির মহিলাদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাইছি।”
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনার গুরুত্ব সহকারেই তদন্ত হচ্ছে। ২২ অগস্ট সেলিম শেখ নামে নাজিরপুর এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে
বেলডাঙা ২ (পূর্ব) তৃণমূলের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে। সেই তদন্ত শেষ হলে বোঝা যাবে কে অপরাধী। তাদের শাস্তি হবে। এতে তৃণমূল কোথা থেকে আসছে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। সে যে দলের লোকই হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy