প্রতীকী ছবি।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এলাকাতেই নিমতিতা বিস্ফোরণের যোগসূত্র খুঁজে পেল সিআইডি। বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট্ট গ্রাম রঘুনাথপুর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় আবু সামাদ নামে বছর ৪৩ বয়সের এক ব্যক্তিকে। তবে সে একাই নয়, সিআইডি-র দাবি স্থানীয় এলাকার একাধিক ব্যক্তি ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের যোগ রয়েছে এই বোমা হামলার সঙ্গে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও বরাবরই স্থানীয় পুলিশের নজর ছিল সুতির বিভিন্ন গ্রামের উপর। তাই হামলার ঘটনায় রাজ্যের তিনটি তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালালেও জেলা পুলিশও হাত পা গুটিয়ে বসে ছিল না। তারা ঘটনার ক্লু পেতে অতীতে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় বোমা ও বিস্ফোরণের ঘটনাগুলি সম্পর্কে খোঁজ খবর শুরু করে তাদের নিজেদের মত করে। গত এক সপ্তাহ ধরে সুতি এলাকার একাধিক বোমাবাজ দুষ্কৃতীকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
তবে আবু সামাদের এই গ্রেফতারে হতবাক বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর গ্রামের কেইয়াপাড়ার বাসিন্দারাও। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করেন সামাদ। কখনও গাড়ি চালান, আম বাগানের ফল কেনেন, কখনও ফেরি করেন স্টিলের হাঁড়ি, কড়াই। পরিবার ও প্রতিবেশিদের অভিযোগ, স্থানীয় এক মহিলা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যের স্বামী ৪ দিন আগে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সামাদকে। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আত্মীয় ফরিদা বিবি বলেন, “এখনই কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেবে বলে নিয়ে গেলেও ৪ দিন পরেও তাকে ছাড়া হয়নি। এমনকি বাড়ির লোকজনকেও থানায় দেখা করতে দেওয়া হয় নি তার সঙ্গে। শুক্রবার জানতে পারছি মন্ত্রী জাকিরের উপর সে নাকি হামলা করেছে? কখনও গ্রামের খারাপ কাজে জড়িত হয় নি সে। তবু পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করল সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy