বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে ভরতপুর। শনিবার রাতে ফের ভরতপুরের বিন্দারপুর থেকে ১৮টি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের তানজিলা বেওয়া নামে এক ভিখারির বাড়ি থেকে ওই বোমা উদ্ধার হয়। ওই মহিলা বেশিরভাগ দিনই বাড়িতে থাকেন না। ভিক্ষা করতে ভিন গ্রামে চলে যান। পুলিশের অনুমান, সচরাচর ওই বাড়িতে পুলিশ ঢুকবে না ভেবেই দুষ্কৃতীরা ওখানে বোমা রেখেছিল।
মাস খানেক ধরেই বোমা তৈরি ও বোমাবাজিতে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ওই গ্রাম। ছোটদের ক্রিকেট খেলাকে ঘিরে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন। মাস খানেক আগে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন বোমাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। সে দিন তৃণমূলের মানোয়ার শেখ ও রেজুয়ান শেখের গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে মানোয়ারের আত্মীয়া সানোয়ারা বিবি জখম হন। ওই ঘটনার দিন দশেক পর গ্রামের পড়শি গ্রাম স্বরডাঙার মাঠে বোমা বাঁধার সময় বিপত্তি বাঁধে। বোমা ফেটে মানোয়ারের দুই শাগরেদ দুই— সোনারুল শেখ ও বসির শেখের মৃত্যু হয়। আজাদ শেখের দু’হাত উড়ে যায়।
সেই থেকেই গ্রামে লাগাতার পুলিশি টহল চলছিল। আর তাতেই এ দিন তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই বোমা উদ্ধার করল। পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, মানোয়ার রেজুয়ানের গোষ্ঠীর লোকজন একে অপরের উপর প্রতিশোধ নিতেই নিয়মিত লুকিয়ে-চুরিয়ে বোমা বাঁধে। উদ্ধার হওয়া বোমা ওই দুই গোষ্ঠীর কেউ ওখানে রেখেছিল। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, “তৃণমূলের দু’গোষ্ঠীর এলাকা দখল ও ময়ূরাক্ষী নদী বাঁধের মাস্টার প্ল্যানের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সারা গ্রাম আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে।’’
ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নূর আলম বলেন, “ওই গ্রামে দুই পরিবারের বিবাদের জেরেই বোমাবাজি ও বোমা উদ্ধার হচ্ছে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’
অন্যদিকে ডোমকলের চাঁদেরপাড়া এলাকা থেকে রবিবার ১৬টি বোমা উদ্ধার হয়। গ্রামের একটি পরিত্ত্যক্ত বাড়ির পিছনে মাটির তলায় রাখা ছিল। এ দিন সকালে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই ঘটনা থেকে মনে হচ্ছে, ওই এলাকায় প্রচুর বোমা রাখা রয়েছে। সেই সব বোমা উদ্ধার না হলে ভোটের দিন বড়সড় গোলমালের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy