জবরদখল হয়ে রয়েছে মাঠ। ডান দিকে, বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ছোট রেলের স্টেশন। ছবি: নিজস্ব চিত্র
• স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের মহেশগঞ্জ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করে পাশাপাশি আরও চারটে পঞ্চায়েতের প্রায় এক লক্ষ লোক। অথচ এখানে সামান্য সর্দিকাশি বা পেট খারাপের মতো রোগ ছাড়া অন্য যে কোনও অসুখে অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়। এই দূরাবস্থা কবে দূর হবে?
মিঠু দেবনাথ দত্ত, বুথ নম্বর ১৭৫
চিকিৎসক কিংবা অন্য পরিকাঠামোর অভাবের কথা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।
• আমাদের পঞ্চায়েতে এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁদের বার্ধক্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও বিধবা ভাতা পাওয়া জরুরি। অথচ তাঁদের নাম ভাতার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে না। আবার যাঁদের নাম তালিকাতে রয়েছে, তাঁরা মাসের পর মাস ভাতা পাচ্ছেন না।
রুস্তম মণ্ডল, বুথ নম্বর ১৭১
এই সব ভাতা কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প। সেখান থেকেই টাকা দিচ্ছে না। গত ২০১৪ সালে আমরা এমন ন’শো জনের তালিকা তৈরি করে পাঠিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে তালিকার বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আমাদের পঞ্চায়েতে ভাতা প্রাপকদের আটমাসের টাকা বকেয়া আছে।
• স্বরূপগঞ্জের বহু মানুষ ঝুপড়িতে থাকেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গরিব মানুষদের ঘর পাওয়ার কথা।
সত্যম দেবনাথ, বুথ নম্বর ১৭০
দু’বছর আগে সরকারি নিয়ম মাফিক সমীক্ষা করে আমরা ১২৩৬ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছিলাম সংশ্লিষ্ট দফতরে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
•স্বরূপগঞ্জের তারণপুরঘাট দিয়ে জলঙ্গি নদী পার হয়ে মায়াপুর যাওয়ার পথে নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের। সেতু কি আদৌ হবে?
সঞ্জিত সমাদ্দার, বুথ নম্বর ১৭৩
গত দু’বছরে সেতু তৈরির পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে ওই পরিকল্পনা। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
• কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন পাতার কাজ আমঘাটা পর্যন্ত এসে থমকে গেল কেন?
সজল কর, বুথ নম্বর ১৭৯
বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষই ভাল বলতে পারবেন। মিথ্যা অজুহাতে রেল এই কাজটি বন্ধ করে রেখেছে। রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নবদ্বীপ ঘাট স্টেশন করার জন্য নাকি পর্যাপ্ত জমি নেই। কৃষ্ণনগর জংশন ষ্টেশনে যতখানি জমি আছে, আমাদের এখানে তার থেকেও বেশি জমি আছে রেলের।
• স্বরূপগঞ্জ রেলবাজার সংলগ্ন এলাকা প্রতি বছর বর্ষায় মিনি বন্যায় ভেসে যায়। জমা জলের দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে পাম্প করে জল ফেলতে হয়। কারণ জল বেরনোর কোনও নিকাশি নালা নেই। ওই এলাকায় একটি বড় নালা হওয়ার কথা বহুদিন ধরেই শুনতে পাই। কবে হবে নিকাশি নালা?
ভজন দেবনাথ, বুথ নম্বর ১৭৫
ওই অঞ্চলের নিকাশি নালার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টাকার জন্য অপেক্ষা করছি।
• এখানকার বাসিন্দাদের প্রতি দিনের খাবার জলের ভরসা টাইম কল। কিন্তু পিএইচই সরবরাহ বিশুদ্ধ পানীয় জলের কলের সংখ্যা এলাকায় এতই কম যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে তবে পাওয়া যায় এক বালতি জল। সামান্য কয়েক জনের বাড়িতে নলকূপের ব্যবস্থা আছে। স্বরূপগঞ্জের পানীয় জলের সমস্যা কবে মিটবে?
লাল্টু শেখ, বুথ নম্বর ১৬৯
স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তিনটি জায়গায় পিএইচই জল সরবরাহের উৎস তৈরি হয়েছে। তিওরখালি, বাগানেপাড়া এবং পঞ্চায়েত অফিস। এর পর পাইপ লাইন দিয়ে জল বাড়ি বাড়ি পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
• স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ফকিরতলা-ট্যাংরা বাইপাস রোড। রাস্তাটি শেষ বার সংস্কার হয়েছিল সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের আমলে, ১৯৯৯ সালে। তার পর থেকে দু’কিমির বেশি ওই রাস্তা ক্রমশ মানুষ কিংবা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তার সংস্কার নিয়ে পঞ্চায়েত কী ভাবছে?
মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বুথ ১৮০
জেলা পরিষদের অধীন ওই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা প্রয়োজন। এলাকার বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে বিডিও, প্রত্যেকের কাছে জানানো হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরু করা যাবে।
• স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়তের ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন মাঠটি ক্রমশ জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। আবর্জনাও ফেলা হয়। মাটি কেটে বড় বড় গর্ত করে মাঠটি কার্যত নষ্ট হতে বসেছে।
জয়ন্ত সাহা, বুথ নম্বর ১৭৭
ওই মাঠে একটা মিনি স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
• নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগরগামী রাজ্য সড়কের প্রায় দু’কিমি স্বরূপগঞ্জের ভিতর দিয়ে গিয়েছে। ঘাট থেকে ফকিরতলা পর্যন্ত ওই রাস্তার হাল খুব খারাপ। কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। বর্ষায় বা শীতের রাতে অন্ধকারে সমস্যায় পড়তে হয়।
অমলেন্দু সাহা, বুথ নম্বর ১৮১
রাস্তাটি পিডবলিউডি’র অধীন। ওদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
• দুর্গাপুজো, কালীপুজো থেকে রাস, স্বরূপগঞ্জে প্রতিমার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু কোনও প্রতিমা নিরঞ্জনের ঘাট নেই।
রাজেন শেখ, বুথ নম্বর ১৬০
সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ সচিব এসেছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের সাহায্য নিয়ে জলঙ্গিতে পঞ্চায়েত প্রতিমা নিরঞ্জনের ঘাট নির্মাণের কাজে হাত দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy