Advertisement
১৭ মে ২০২৪

সর্বোচ্চ নম্বরেও পদক অধরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্তিকায় পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে: ‘‘পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরকেই বিচার্য বলে ধরা হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মনিরুল শেখ
কল্যাণী  শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৩
Share: Save:

পদক প্রাপকের তালিকায় তাঁর নাম ছাপা হয়ে গিয়েছিল। মঞ্চ থেকে মাইকে ডাকাও হয়েছিল তাঁর নাম। তবু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক হাতে পেলেন না গত বছর প্রাণিবিদ্যা বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রতীতি মণ্ডল।

গত শিক্ষাবর্ষে প্রাণিবিদ্যার স্নাতকোত্তর স্তরে চার সেমেস্টার মিলিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পান প্রতীতি। এক নম্বর কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন পারমিতা মিত্র। দু’জনেই ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে ‘রিভিউ’ করাতে দেন। তাতে কারওরই নম্বর বাড়েনি।
পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর সূত্রের দাবি, পারমিতা মোট নম্বরের নিরিখে দ্বিতীয় হলেও ‘কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্টস অ্যাভারেজ’এর (সিজিপিএ) নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন। সে কথা তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। সমাবর্তন স্থগিত করার আর্জিও জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি হাইকোর্ট খারিজ করেছে। তবে মেধ‌াতালিকা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পদক দেওয়ার মানদণ্ড কী— প্রাপ্ত নম্বর না গ্রেড পয়েন্ট?
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্তিকায় পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে: ‘‘পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরকেই বিচার্য বলে ধরা হবে।’’ উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী মোট নম্বরের ভিত্তিতে পদক দেওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে প্রতীতিই পদক পাবেন। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু হাইকোর্ট যেহেতু পুনরায় খতিয়ে দেখতে বলেছে, তাই তাঁকে আপাতত তা দেওয়া গেল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
নম্বরে পিছিয়ে থেকেও গ্রেড পয়েন্টে এগিয়ে থাকা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। এক প্রবীণের দাবি, ‘‘মোট নম্বরের নিরিখে দু’নম্বরে থাকা পড়ুয়া ‘সিজিপিএ’-এর হিসেবে এক নম্বরে থাকতে পারেন না। কারণ, সিজিপিএ তো হিসেব করা হয় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই। এ ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই পরীক্ষা নিয়ামকের অফিসে কোনও গোলমাল হয়েছে।’’ পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাসকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
সিজিপিএ-র ভিত্তিতে পদক দেওয়ার কি কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? উপাচার্য বলে, ‘‘এ বছর ৮৬ জনকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পদক দেওয়া হয়েছে। এক জনের ক্ষেত্রে সে নিয়ম ভাঙার প্রশ্ন নেই।’’ দিনের শেষে প্রতীতি বলেন, ‘‘পদক পাব জেনে আমার বাবা এসেছিলেন। কিন্তু এসে শুনি, আমাকে আজ পদক দেওয়া হবে না। পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর থেকে বলা হয়েছে ধৈর্য ধরতে।’’ পারমিতার মোবাইল টানা বন্ধ থকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

University of Kalyani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE