বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে তৃণমূলের সভা।— নিজস্ব চিত্র।
একুশে জুলাই, দলের শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভা নিয়ে জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসে জেলার গোষ্ঠীকোন্দলের আঁচ ফের টের পেলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বিকেলে, রবীন্দরসদনে ওই বৈঠকে সুর কেটে দিলেন হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ। শুভেন্দু তাঁর প্রশ্ন ছিল— ‘‘গত ৬ মে জেলায় বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে আলোচনা সভা ছিল। সে সভায় আমি বক্তব্য রাখতে উঠতেই সভা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে কোনও আলোচনা হওয়ার আগেই তা ভেস্তে গেল। এ সবের মানে কি?’’
তিনি জানান, সভার পরেই ওই দিন যাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন সেই তালিকায় ছিলেন জেলার পরিচিত এক ‘সুদখোর’ও। নিয়ামতের অভিযোগ, ‘‘নিজের সুদের ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করতেই তার দলে যোগ দেওয়া। আমাদের দলে ওই সুদখোর মানুষদের কি শোভা পায়!’’ হরিহরপাড়ার বিধায়কের পরামর্শ ছিল— ‘‘জেলা নেতৃত্বের অনেকেই আপনার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। আপনি যদি সময় দেন তাহলে তারা বসতে রাজি আছে। কিন্তু এই সভা আলোচনার বিষয় নয়। তাই আমি কোনও কথা বলছি না।’’
তাঁর মন্তব্য শুনে নিয়ামতের অনুগামীরা সোল্লাশে ফেটে পড়লেও পাল্টা বিদ্রুপেরও আওয়াজও এড়িয়ে যায়নি। তাঁরা বিধায়ককে চুপ করে যেতে বলেন। জেলা কমিটির বৈঠকে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিতে তাকেন তাঁরা।
জেলা তৃণমূল সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘এ দিন মঞ্চে যা হয়েছে, তাতে ভুল বোঝাবুঝির কোনও বিষয় নয়। যদি কারও কিছু পরামর্শ থাকে তাহলে তা নিয়ে দলের ভেতরে আলোচনা হবে।’’
এ দিন বিধানসভা ভোটে জেলায় তৃণমূলের ফলাফল প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারি বলেন, ‘‘জেলায় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের লড়তে হয়েছে। জেলাপরিষদ নেই, অধিকাংশ পুরসভা নেই। আমাদের কেউ কেউ নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করেন। কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগও রেখে চলেন। তা সত্ত্বেও আমরা চারটি আসনে জয়ী হয়েছি। ইমানি বিশ্বাস ও সৌমিক হোসেন অল্প ভোটে হেরেছে। তা না হলে ফল আরও ভাল হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy