Advertisement
০২ মে ২০২৪
Ranaghat Robbery

ডাকাতি মামলায় সাক্ষ্য, সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুরু হয় সাক্ষ্যদান পর্ব।

অভিযুক্ত ছোট্টু পাসোয়ানকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার।

অভিযুক্ত ছোট্টু পাসোয়ানকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদেব দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৯
Share: Save:

টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা শুনানি চলল গয়নার দোকানে ডাকাতি মামলার। বৃহস্পতিবার রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মোট ছয় জনের সাক্ষ্যদানের কথা থাকলেও পাঁচ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। ডাকাতির ঘটনার ক্লোজ় সার্কিট ফুটেজ ডিজিটাল তথ্য হিসেবে পেশ করার জন্য এ দিন এজলাসে টিভিরও ব্যবস্থা করা হয়। সাক্ষ্য ও জেরার প্রক্রিয়া শেষে বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত পরবর্তী সাক্ষ্যদানের জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর, শনিবার দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুরু হয় সাক্ষ্যদান পর্ব। বসিরহাটের বাদুড়িয়ার বাসিন্দা হাসনুর জামান, হাওড়ার বাসিন্দা অঙ্কিতকুমার যাদব, ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরার টেকনিশিয়ান সৌরভ চক্রবর্তী, গয়নার দোকানের কর্মী পম্পা কুণ্ডু ও সুস্মিতা দাস এবং রানাঘাট থানার সাব-ইনস্পেক্টর আলতাব হোসেন সাক্ষ্যদানের জন্য আদালতে আসেন। সুস্মিতা দাস ছাড়া বাকি পাঁচ জনের সাক্ষ্যদান হয়েছে। অঙ্কিতকুমার যাদব ও হাসনুর জামান বিচারককে জানান, তাঁদের মোটরবাইকের নম্বর হুবহু এক রেখে পৃথক নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে। ডাকাতির দিন পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা মোটরবাইক দু’টি তাঁদের নয়।

তৃতীয় সাক্ষী ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। জেরার সময়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী সুমন রায় ও বাসুদেব মুখোপাধ্যায় সিসিটিভি টেকনিশিয়ান সৌরভকে প্রশ্ন করেন, "আপনি নিজেকে টেকনিশিয়ান হিসেবে দাবি করছেন। স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে এই সংক্রান্ত কোনও শিক্ষাগত ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্স আপনার রয়েছে কি?" উত্তর আসে, "না"। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আরও প্রশ্ন তোলেন, "সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত হলেও কেন বাজেয়াপ্ত তালিকায় তা উল্লেখ করেনি পুলিশ?" চতুর্থ সাক্ষী ছিলেন গয়নার দোকানের কর্মী পম্পা কুণ্ডু। তাঁকেও জেরা করেন অভিযুক্তদের দুই আইনজীবী। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আলতাব হোসেনের বক্তব্য বিচারক শোনার পর সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই তাঁকে পরবর্তী মামলার দিন জেরা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

টানা পাঁচ ঘন্টা সাক্ষ্যের পর আদালত থেকে বেরিয়ে মামলার মূল অভিযুক্ত কুন্দনকুমার যাদবের আইনজীবী সুমন রায় দাবি করেন, "সিসিটিভি ফুটেজগুলি যে টেকনিশিয়ানকে দিয়ে পেনড্রাইভে সংরক্ষিত করা হয়, আজ তিনি আদালতে জেরায় স্বীকার করে নেন যে, এই বিষয়ে তাঁর কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না৷ অনভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণহীন ব্যক্তিকে দিয়ে এই রকম অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহের কাজটি দায়সারা ভাবে করা হয়েছে৷" সরকার পক্ষের কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এ দিন পাঁচ জনের সাক্ষ্য হয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবীরা এক জনকে জেরা করার জন্য সময় চেয়েছেন। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ranaghat cctv footage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE