নবগ্রাম থানায় ফরেন্সিক দল। —নিজস্ব চিত্র।
থানায় এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তা নিয়ে দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। এ বার মুর্শিদাবাদের সেই নবগ্রাম থানায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক দল।
সোমবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষর সরকারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল নবগ্রাম থানায় পৌঁছয়। ‘সিল’ করা সেল খুলে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞেরা। ঘণ্টাখানেক সেখানে ঘুরে দেখার পর পুনরায় বন্দি গোবিন্দ ঘোষের দেহ উদ্ধার হওয়া সেলটি ‘সিল’ করে দেন তাঁরা।
শুক্রবার রাতে থানার শৌচাগারে গোবিন্দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা ২৮ বছরের যুবককে পুলিশই পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। ঘটনায় থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে সাসপেন্ড করা হয়। রবিবার তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ। যদিও পুলিশ দাবি করে যে, গোবিন্দ আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে চাপানউতর অব্যাহত। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীকে চিঠিও দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
গোবিন্দের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। এমনকি, মৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, নির্দোষ গোবিন্দকে বেআইনি ভাবে আটকে রেখে যথেচ্ছ অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy