Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Mahua Moitra

সরকারি মঞ্চে প্রাক্তন সাংসদ, প্রশ্ন বিরোধীদের

ষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়ানোর পরেও মহুয়া কী ভাবে সরকারি মঞ্চে আমন্ত্রিত হতে পারেন, সেই প্রশ্ন আগেও উঠেছিল।

রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভায় মহুয়া। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে।

রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভায় মহুয়া। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে। —নিজস্ব চিত্র।

সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:১২
Share: Save:

সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উপস্থিতি ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই, বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও উজ্জ্বল বিশ্বাস, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা, একাধিক বিধায়ক, জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ ও জেলা প্রশাসনের কর্তা। সেই মঞ্চেরই কেন্দ্রে আসন দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।

ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়ানোর পরেও মহুয়া কী ভাবে সরকারি মঞ্চে আমন্ত্রিত হতে পারেন, সেই প্রশ্ন আগেও উঠেছিল। এর আগে কালীগঞ্জের একটি মেলায় সরকারি মঞ্চে মহুয়ার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সে বারও জেলাশাসক কোনও সদুত্তর দেননি, এ বারও নয়।

সাংসদ পদ হারানোর পরে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তও শুরু করেছে। তবে তাঁর প্রতি আস্থা রেখে দল তাঁকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রীর পদ দিয়েছে। এ বার সরকারি মঞ্চে বহিষ্কৃত সাংসদের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাসের মতে, “তৃণমূল যে সরকার ও দলকে এক করে দিতে চাইছে, এই ঘটনাই তা ফের ফের প্রমাণ করে দিল। তবে মহুয়া মৈত্রের যদি সামান্যতম আত্মসম্মান বোধ থাকত, তিনি নিজেই সরকারি মঞ্চে উঠে প্রশাসনকে অস্বস্তিতে ফেলতেন না, নিজেকেও অসম্মানিত করতেন না।”

বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৈকত সরকারের বক্তব্য, “মহুয়া মৈত্র তো আর সাংসদ নন! তাঁকে সরকারি মঞ্চে আমন্ত্রণ করা হলে আমাদের দলের সভাপতিকেও ডাকা উচিত ছিল। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে যাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডি যাঁকে তলব করেছে, তাঁকে কী করে প্রশাসনিক মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়, সেটা আমাদের মাথায় ঢোকে না।”

এ দিন চেষ্টা করেও মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। মোবাইলে পাঠানো বার্তার জবাবও আসেনি। তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান শুধু বলেন, “বিষয়টা ভাল ভাবে না জেনে কোনওরকম মন্তব্য করব না।” জেলাশাসককে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE