শূন্য থেকে এক ধাক্কায় সাত।
তালিকায় আর এক জন যোগ হলেই নিরঙ্কুশ। এই অবস্থায় বেলডাঙা পুরসভার আরও এক বাম সদস্যকে ‘বাজিয়ে দেখল’ তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায়, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাম কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা প্রায় ‘পাকা’ করে ফেলেছে তারা। আনুষ্ঠানিক বদলটুকুই যা বাকি!
নিকট আত্মীয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে আরএসপি-র ওই পুরপিতা, স্বপন চক্রবর্তী অবশ্য বেলডাঙায় নেই। ফোনে জানাচ্ছেন, ‘‘আমি বেথুয়াডহরিতে। আমার অনুপস্থিতি নিয়ে তাই নানা কথা হচ্ছে। আগে ফিরি তার পরে সিদ্ধান্ত।’’
সিদ্ধান্ত তাঁর যাই হোক না কেন, তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর ‘গণনা’ মিলিয়ে দেওয়া যে এখন নিছক সময়ের অপেক্ষা তা জানেন তৃমমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘স্বপন না এলে অন্য কেউ আসবে, বেলডাঙা ক’দিনের মধ্যেই আমাদের হবে। মিলিয়ে নেবেন।’’
আলোচনাটা মাস কয়েক ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। যে পুরসভায় একটি আসনও তৃণমূলের দখলে ছিল না, সেই বেলডাঙার সাত কংগ্রেস কাউন্সিলর শাসক দলে পা বাড়িয়ে হিসেব উল্টে দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। তবে, হিসেব বদলানোর হুঁশিয়ারিটা অন্তত মাস পাঁচেক আগেই দেগে দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
নির্বাচনী প্রচারে এসে জানিয়ে দিয়েছিলেন— ‘‘এর পরে বেলডাঙা তার পরে বহরমপুর।’’ দ্বিতীবার ক্ষমতায় ফেরার পরে, দিন কয়েক আগে ফের জেলা সফরে এসে তিনি অবশ্য নির্দিষ্ট তারিখই শুনিয়ে গিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর। তার মধ্যেই কংগ্রেসের দখলে থাকা মুর্শিদাবাদের সব পুরসভা, পঞ্চায়েত এমনকী জেলা পরিষদও দখল নেবে তৃণমূল।
হুঁশিয়ারির ক্রম মেনে অবশ্য দখলদারি হয়নি বরং, বেলডাঙার আগেই তারা দখল করেছে জঙ্গিপুর এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ।
দিন কয়েক আগে, দলের উপ পুরপ্রধান তার সঙ্গে নানা ভাবে অসহযোগিতা ও দুনীর্তির নানা অভিযোগ তুলে শেষতক বৃহস্পতিবার বেলডাঙা পুরসভার উপ পুরপ্রধান জুলহক শেখকে অপসারণ করল পুরপ্রধান ভরত ঝাওর। বলছেন, ‘‘স্বচ্ছভাবে পুরসভা চালাতে বড্ড হেনস্থা করছিল উপ-পুরপ্রধান। সেই জনিযই এই সিদ্ধান্ত নিতে হল।’’
তাহলে এ বার কি তৃণমূলে? তিনি বলেন, ‘‘দলে দীর্ঘদিন ধরে অপমানের শিকার, দলবদল নিয়ে ভাবিনি।’’ সে অবশ্য তাঁর মুখের কথা বলেই মনে করছে কংগ্রেস। তিনি-সহ দলত্যাগীদের শো-কজ করা হয়েছে। উত্তর দিতে হবে সাত দিনে।
তার পর, অপেক্ষা করছে তৃণমূল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy