—প্রতীকী চিত্র।
বিধায়কহীন বড়ঞা ব্লকে টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পদ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ বিক্রি হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। এমনই অভিযোগ তুলে নিজের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শাসক তৃণমূলের এক নেতা। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি।
বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলবন্দি থাকায় সাংগঠনিক দিক থেকে টালমাটাল অবস্থা ছিলই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রে। তার মধ্যেই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বে সেখানে কার্যত বিড়ম্বনায় শাসকদল। মাহে আলম এক সময় বড়োঞা ব্লকের যুব সভাপতি ছিলেন। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ জেলে যাওয়ার পর তাঁর ‘পদোন্নতি’ হয়। দায়িত্ব পান সহ-সভাপতি পদের। শাসকদল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল জেতার পর আলমের গোষ্ঠীর এক জনের সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধেরা বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি ও সহকারী সভাপতি গঠন করে ফেলেন। এই ঘটনায় বেজায় চটে যান আলম। জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হলে সেখানে ‘শোকজ’ করা হয় দলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়ককে। এ ক্ষেত্রে সে রকম ব্যবস্থা দল গ্রহণ না করায় আলম সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, “প্রশাসনিক তরফে একটি রিপোর্ট আমি জানতে পেরেছি। এখানে পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ টাকার খেলা হয়েছিল। কে বা কারা নিয়েছে, আমি জানি না। প্রশাসনিক এক জন বড়কর্তা বিষয়টি আমায় জানিয়েছেন। এমনকি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন বলেছেন।” এর পর আলম ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমরা নীতি-আদর্শ মেনে দল করি। এখানে দলের তরফে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। ৭ জন প্রধান ও ৩টি জেলা পরিষদ রয়েছে। তা হলে বড়ঞা ব্লকের ক্ষেত্রে এমন কেন হবে?”
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দলের পদ বিক্রিতে টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, ‘‘তোলাবাজির দায়িত্ব পেতে টেন্ডার দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় স্তরে যে বেশি দর হেঁকেছে, তাকেই সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ তৃণমূল জেলা সভা নেত্রী সাওনি সিংহ রায়ের দাবি " বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব কে জানানো হয়েছে, নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নেওয়া হবে"।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy