—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তাহ পেরোলেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন। তার আগেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় রীতিমতো যোগদান সভা করল তৃণমূল। দলের নেতাদের দাবি, বুধবার বড়ঞায় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং নির্দল মিলিয়ে মোট দশ জন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে এই যোগদানের ফলে উচ্ছ্বসিত শাসক শিবির। যদিও ভয় দেখিয়ে দলে যোগদান করানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।
বুধবার ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবীন ঘোষের হাত ধরে কংগ্রেসের তিন, সিপিএমের দুই, বিজেপির এক এবং চার জন নির্দল সদস্য যোগদান করেন তৃণমূলে। কুলিতে তৃণমূল কার্যালয়ে পাঁচথুপি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের হয়ে জেতা নূপুরচাঁদ মির ও সাহিবুল শেখ যোগ দেন তৃণমূলে। এর পাশাপাশি সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়, বিপ্রশেখর ও কুরুননুরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের এক জন করে সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েত ভোটে পাঁচথুপি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে দশটি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ১২টি আসন পেয়েছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তিনটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করবে কোন দল তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের দলে টেনে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কাজে অনেকটাই এগিয়ে গেল তৃণমূল।
বহরমপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “ভুল বুঝে অনেকে বিরোধী দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের অভিযোগ, “ভয় দেখিয়ে বিরোধী সদস্যদের দলে যোগদান করাচ্ছে তৃণমূল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের রায়কে অপমান করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy