— প্রতীকী ছবি।
স্বামীর মৃত্যুর পর সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। নিজের এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই অবস্থায় সাময়িক সুরাহার আশায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের অমৃতকুণ্ড গ্রামের বাসিন্দা ৫৮ বছরের পূর্ণিমা মহালদার। ঋণ নেওয়ার পর অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়। অভিযোগ, নিয়মিত ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে পারতেন না মহিলা। তার জেরে ব্যাঙ্কের লোকেরা বাড়িতে এসে উৎপাত করতেন বলে অভিযোগ। এর পরেই মানসিক অবসাদে মহিলা চরম পদক্ষেপ করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান।
জানা গিয়েছে, অমৃতকুণ্ড গ্রামে বাড়ি ওই মহিলার। স্বামীর অকালমৃত্যুর পর সংসারের হাল নিজে ধরেছিলেন। সন্তান বিশেষ ভাবে সক্ষম। তিনি নিজেও গত ১৫ বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলের এবং নিজের চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতির চাপে পড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। সাধারণত, এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণও বেশি হয়। কিন্তু মহিলা নিরুপায়।
অভিযোগ, মহিলা নিয়মিত কিস্তির টাকা শোধ করতে পারতেন না। তাতে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রায়ই তাঁর বাড়িতে এসে হুমকি দিতেন। তার জেরেই শুক্রবার সকালে পূর্ণিমা গলায় দড়ি দেন। এমনটাই স্থানীয়দের অনুমান। নবগ্রাম থানার পুলিশ মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy