বছর নয়েকের এক ছাত্রীর অ্যাসিডে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির পাশ থেকে। গত পাঁচদিন নিখোঁজ ছিল শিশুটি। লালগোলা থানার যশোইতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় জোতভিকন গ্রামে সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ বিলকিস খাতুন নামে ওই শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় পচাগলা দেহ পাওয়ায় পরিবারের দাবি, শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সব রকমের সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর ধর্ষণ ও খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিশুটির বাবা বেলাল হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন। তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী হিরা বিবি। ভাইবোনেদের মধ্যে বিলকিস সবার বড়। তাদের বাড়ির পাশেই ঠাকুরদা কসিমুদ্দন শেখ ও পিসি আজুয়ারা বিবির বাড়ি। বাড়িতে টিভি না-থাকায় হিরা বিবি ছেলেমেয়েদের নিয়ে কসিমুদ্দিনের চায়ের দোকানে বা পিসির বাড়িতে টিভি দেখতে যান। বৃহস্পতিবারও তেমনই কথা ছিল। কিন্তু পিসির বাড়ি যাওয়ার কথা বলেও সেখানে যায়নি বিলকিস। তারপর থেকেই নিখোঁজ সে।
হিরা বিবি বলেন, “ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মেয়ে টিভি দেখতে পিসির বাড়ি চলে যায়। আমিও একটু পরে ওই বাড়ি যাই। প্রথমে ভেবেছিলাম বাইরে খেলছে কোথাও। কিন্তু রাতে খোঁজ করতে শুরু করি। তখনই জানিতে পারি সে আসেইনি এ বাড়ি।”
মেয়েকে খুঁজে না-পেয়ে রাতেই গ্রামের মধ্যে মাইকে প্রচার করা হয়। পরদিন সকালে লালগোলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
সোমবার বাড়ির কাছেই খেতের মধ্যে ওই বালিকার পচাগলা নগ্ন দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। মৃতের কাকা লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সিপিএমের মারফত আলি বলেন, “একটি গমের খেত লাগোয়া ফাঁকা জমিতে বিলকিসের দেহ পড়েছিল। সম্ভবত গমের খেত থেকে কুকুর শিয়ালে ওই দেহ টেনে ফাঁকা জমিতে এনেছে। অনুমান, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।”
তবে শিশুটির কানে যে সোনার দুল ছিল, তা মৃতদেহে ছিল না। ফলে পুলিশ ছিনতাই-এর জন্য খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। এ দিন সকালে পুলিশ দেহ আনতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy