ভক্তবালা-কাণ্ডে শিক্ষা নেয়নি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বেসরকারি বিএড কলেজ। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ও সতর্ক হয়নি। ফের অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির অভিযোগ। ফের রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এবং এই গেরোয় ফের অনিশ্চিত ১৭০০ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ।
শুক্রবার নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মোট ৫৪টি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ অথবা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে আলোচনার জন্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সিংহ ভাগই ওই সব বেসরকারি কলেজের মালিক। তাঁদের অভিযোগ, তিন বার কাউন্সেলিংয়ের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় সব আসনে ছাত্র পাঠাতে পারেনি। তাই প্রায় ১৭০০ আসনে তাঁরাই ছাত্র ভর্তি করেছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাঁরা কাউন্সেলিং করে যাঁদের পাঠিয়েছিলেন, তাঁদেরই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
কলেজ-মালিক সংগঠন, কল্যাণী ইউনিভার্সিটি সেল্ফ ফিনান্স টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক সুব্রতকুমার রায়ের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক রবীন্দ্রলাল বিশ্বাসের অভিযোগ, “রেজিস্ট্রেশন না পাওয়ার এই সমস্যা ৫৪টি কলেজেই রয়েছে। তা নিয়ে কথা বলব বলেই উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি, উল্টে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে।”
উপাচার্য রতনলাল হাংলুর দাবি, “নানা বিষয়ে আলোচনা করতে ৫৪টি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দু’জন এসেছিলেন। আর কে এসেছিলেন, তা জানা নেই।” তাঁর দাবি, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে কলেজগুলিতে ছাত্র পাঠানো হয়েছিল। জুলাই থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। অক্টোবরে কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছু না জানিয়েই অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করেছে।
চাপড়ায় ভক্তবালা বিএড কলেজে মোটা টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করার অভিযোগ ওঠার পরে ছাত্র ভর্তিতে আরও কড়া অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বলেন, “কিছু কলেজ মোটা টাকার বিনিময়ে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করেন। আমরা তা বরদাস্ত করব না। আমরা যা করেছি বা করছি, সবটাই নিয়ম মেনে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy