দাবিদাওয়া আদায়ে অবরোধই যে সেরা উপায়তা বুঝে গিয়েছে ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরাও। তাই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে মঙ্গলবার ছয় ঘণ্টারও বেশি ধুলিয়ান-পাকুড় রাজ্য সড়কের চাঁদপুর সেতুর উপর বসে রইল একাধিক স্কুলের সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীপড়াশোনা শিকেয় ঠেলে। অবরোধ সরাতে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কার্যত নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
অবরোধকারীদের দাবি ছিল, প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে বিডিও ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা সারাইয়ের ব্যাপারে আশ্বাস দিন। কিন্তু এই ভাবে ছাত্রদের পথে নেমে অবরোধের পিছনে উস্কানি রয়েছে সন্দেহে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ গড়ালেও, কেউ সেখানে যেতে রাজি হননি। জঙ্গিপুরের এসডিও নিখিলেশ মণ্ডল বলেন, “ছাত্রদের পথে নামিয়ে অবরোধ করতে শেখাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা ঠিক কাজ করছেন না। রাস্তায় বসে রাস্তা সারানোর আলোচনা সম্ভব নয়।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুলিয়ান থেকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন কয়েকশো যান চলে। ৬-৭টি স্কুল রয়েছে রাস্তার ধারে। বেহাল এই সড়ক পথে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ৬ মাসে। তাই এদিনের অবরোধে সমর্থন ছিল এলাকাবাসীরও।
অবরোধকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ভাসাই পাইকর হাইস্কুলের ছাত্র। স্কুল চলাকালীন ছাত্ররা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে অবরোধে বসল কার অনুমতিতে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক আবদুর রহমান। তিনি বলেন, “ছাত্রদের দাবির প্রতি সমর্থন থাকলেও অবরোধ অন্দোলনকে সমর্থন করি না। তবে, কেউ যাতে বিশৃঙ্খল আচরণ না করে তা দেখতে শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।” স্কুলে না এলেও এদিন ছাত্রদের সঙ্গে রাস্তায় ছিলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ। তিনি অবশ্য বলেন, “ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই আমি ওখানে যাই।”
এদিনই রঘুনাথগঞ্জ থানার মঙ্গলজনের কাছে এক পথ দুর্ঘটনায় পাথল প্রামাণিক (৭০) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তার জেরে বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন গ্রামবাসীরা। রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ সরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy