এলাকায় উন্নয়ন ঠিক পথে এগোচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূলের উপ-প্রধান। গত শুক্রবার চাকদহের শিলিন্দা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান দুলাল সর্দার-সহ তৃণমূলের চার সদস্য বিডিও বিপ্লব সরকারের কাছে প্রধান কল্লোল সমাজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় উন্নয়নের কাজ ঠিক পথে এগোচ্ছে না। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য হওয়ায় ওই ঘটনায় কার্যত বেআব্রু হয়ে পড়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিলিন্দা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি আসনের সব কটিতেই জিতেছিল তৃণমূল। কল্লোল সমাজদার প্রধান ও দুলাল সরদার উপ-প্রধান হয়েছিলেন। বাসিন্দাদের দাবি, বোর্ড গঠনের প্রথম দিন থেকেই প্রধান ও উপ-প্রধান দু’জনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। দিন যত গিয়েছে সেই লড়াই আরও বেড়েছে। উপ-প্রধানের দাবি, মানুষ অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়ে তাঁদের জিতিয়ে আনলেও এলাকায় প্রত্যাশা মতো উন্নয়ন হচ্ছে না। ওই ব্যর্থতার জন্য তিনি প্রধানকেই দায়ী করেছেন। দুলালবাবু বলেন, “এলাকায় উন্নয়নের কাজ হলেও এলাকাবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। এর জন্য প্রধানই দায়ী। সেই কারণেই, আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি ।”
প্রধানের আবার বক্তব্য, “বুঝতে পারছি না, ওরা কী বলতে চাইছে। তবে, ওরা যে অভিযোগ করছে সেটা ঠিক নয়।” তিনি আরও বলেন, “জেতার পর দলই আমাকে প্রধান করেছিল। দল চাইলে সরে যেতেও রাজি আছি।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাকদহ ব্লক সভাপতি তৃণমূলের দিলীপ সরকার বলেন, “এলাকার উন্নয়ন নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই উপ-প্রধান-সহ চার সদস্য অনাস্থা এনেছেন। সেটা নিয়ে আমরা দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই বিষয়টি মিটে যাবে।”
সিপিএমের বিষ্ণুপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক অসীম রায় বলেন, “ওটা বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত। ওখানে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ওদের কেউ বেশি টাকা পাচ্ছেন, কেউ সে ভাবে পাচ্ছে না। তা নিয়েই গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে।” বিডিও বিপ্লব সরকার বলেন, “চিঠি পেয়েছি। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তলবি সভায় আস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy