নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে ধরা পড়েছে দু’মাস আগে, কিন্তু ভারতে এখনও খাতায় কলমে ফেরার হাতকাটা নাসিরুল্লা।
৮ জুলাই তার গ্রেফতার হওয়ার কথা বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে। দিন দশেকের মধ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং কলকাতা পুলিশের ‘সিট’-এর একটি দল ঢাকায় গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছে। তবু খাগড়াগ়ড় বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হাতকাটা নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মেহফুজ ভারতে এনআইএ-র খাতায় এখনও ফেরার!
মামলার আর এক অভিযুক্ত বোরহান শেখকে হেফাজতে নিতে শুক্রবার আদালতে আবেদন করে এনআইএ। তাতে বলা হয়েছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের আট জন এখনও ফেরার। ওই আটেরই এক জন নাসিরুল্লা।
এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছে হাতকাটা নাসিরুল্লার ছবি, হদিস দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনামের ঘোষণা। এনআইএ-র বিশেষ কৌঁসুলি দেবাশিস মল্লিক চৌধুরীর ব্যাখ্যা, নাসিরুল্লার বিরুদ্ধে কলকাতার এনআইএ আদালতের বিচারক জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই পরোয়ানা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নাসিরুল্লা ফেরারই থেকে যাবে। তা হলে কী ভাবে ওই পরোয়ানা কার্যকর করা যাবে? দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘পরোয়ানা কার্যকর হবে তখনই, যখন নাসিরুল্লাকে কলকাতার এনআইএ আদালতে হাজির করানো যাবে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত, নাসিরুল্লা আমাদের কাছে ফেরার।’’
আরও পড়ুন:আসানসোলের যুবক নিখোঁজ নেপালে
এই ধরনের অভিযুক্তদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় ও বিনিময়ের জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ট্রিটি’ বা ‘এমল্যাট’ ২০১১ থেকে কার্যকর। চুক্তি অনুযায়ী নাসিরুল্লার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি ঢাকা যাতে দিল্লিকে জানায়, সেই জন্য এনআইএ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মারফত তৎপর হয়েছে। কিন্তু এখনও এমন তথ্য বাংলাদেশ থেকে আসেনি যাতে এনআইএ-র নথিতে নাসিরুল্লার নামের উপর থেকে ‘ফেরার’ তকমা উঠে যায়। নাসিরুল্লাকে ফেরার বলে গণ্য করলেও খাগড়াগড় মামলার চার্জশিটপ্রাপ্ত ফেরার অভিযুক্তদের সংখ্যা আট নয়, সাত— এই দাবি করে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ আবু সেলিম বলেন, ‘‘নাসিরুল্লাকে ধরে ফেরার চার্জশিটপ্রাপ্তদের সংখ্যা সাত। কিন্তু বোরহানকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনে ফেরারদের সংখ্যা আট বলে এনআইএ জানিয়েছে। এর অর্থ, ভুল তথ্য নিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। এটা আদালতকে জানাব।’’ এনআইএ সূত্রের খবর, ভুল করে সালাউদ্দিন সালেহিনকে চার্জশিটপ্রাপ্ত বলে ধরায় এই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy