পাঁচ বছরের বিল্টু অসম্ভব চঞ্চল। কিন্তু তার বয়সী বাকি ছেলেমেয়েদের থেকে বিল্টুর চঞ্চলতার ধরনটা আলাদা। এক দণ্ড স্থির হয়ে বসতে পারে না সে। ঘুমের মধ্যেও ক্রমাগত নড়াচড়া করে। চিন্তার অন্ত থাকে না বাবা-মায়ের।
শিশু মনোবিদ হিরণ্ময় সাহার মতে, ‘‘শিশুরা চঞ্চল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় অস্থির ভাব, কোনও কথা শুনতে না চাওয়া, সামান্য কাজও শেষ করতে না পারা, অনর্গল কথা বলার মতো প্রবণতা দীর্ঘ দিন ধরে চললে বিষয়টি ভাবনার। হতে পারে ওই শিশু ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার’ (এডিএইচডি)-এ শিকার।’’
• ৩-১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি-র প্রবণতা বেশি। সব কাজে অস্থিরতার লক্ষণ ছ’মাসেরও বেশি দেখা গেলে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে এডিএইচডি নির্ধারণ হয়।
• শিশুদের মধ্যে সাধারণত তিন ধরনের এডিএইচডি দেখা যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল সমস্যা হল মনোযোগের অভাব এবং অসম্ভব অস্থিরতা।
• এডিএইচডি আক্রান্ত কোনও কোনও শিশুর মধ্যে আবার শুধুই মনোযোগের অভাব দেখা যায়। এরা অতি অস্থির নয়। এ ক্ষেত্রে রোগ সহজে বোঝা যায় না।
• জীবনে হঠাৎ কোনও বিপর্যয় যেমন, বাবা-মায়ের ডিভোর্স বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে শিশুমনে প্রতিক্রিয়া হয়। তার জেরে এডিএইচডি দেখা দিতে পারে।
• ডিপ্রেশন, অসুস্থতা থেকেও এই রোগ হতে পারে।
এডিএইচডি-র নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। ওষুধ-থেরাপি রয়েছে। আর এমন মনে করার কারণ নেই যে আপনার শিশুকে এক বার ওষুধ খেলে সারা জীবন খেতে হবে।
এ ছাড়াও চারপাশের পরিবেশ সুস্থ রাখা জরুরি।
সন্তানকে সামাজিক পরিধিতে বেশি করে মেলামেশা করতে শেখান। চাই বাবা-মা, বন্ধুবন্ধাবের সাহচর্য। প্রকৃতির মাঝে বেশ খানিকটা সময় কাটালে ভাল। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা সন্তানকে বাড়ির বাইরে খোলা মাঠে খেলতে দিন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনোর অভ্যাস খুব জরুরি। সন্তানের ঘুমনোর এক ঘণ্টা আগে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল-সহ বাড়ির বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র বন্ধ করে দিন।
সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখুন। প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন খনিজের মাত্রায় যেন ঘাটতি না হয়।
সেরা পাঁচ
বাড়ির অন্দরে সহজে রাখার পাঁচটি গাছের খোঁজ।
ঘৃতকুমারী
সূর্যের আলো যেখানে আসে তেমন জায়গায় রাখলে ভাল। ঘরের বাতাসকেও দূষণমুক্ত করে।
রাবার
খুব সহজেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
স্নেক প্ল্যান্ট
লম্বা পাতার এই গাছ ঘরের কোণে রাখুন। কম আলো, জলেই বেড়ে ওঠে। রাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টেনে নিয়ে অক্সিজেন ছাড়ে।
বাম্বু পাম
নাসার তালিকা অনুযায়ী বাতাস পরিশোধনে এই গাছ অন্যতম সেরা। পরিশুদ্ধ করার স্কোর ৮.৪! ছায়ায় রেখে বেশি জল দিতে হয় একে বাঁচাতে।
সোনালি পোথোস
বাতাস থেকে ফরম্যালডিহাইড নেওয়ার ক্ষমতায় এই গাছ নাসার তালিকায় স্থান পেয়েছে। ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে ভাল লাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy