Advertisement
১৪ জুন ২০২৪

নিট নিয়ে মামলার ঘনঘটা তিন কোর্টে

বিতর্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ৭ মে-র ওই পরীক্ষাটাই বাতিল করার দাবিতে চলতি সপ্তাহের সোম ও বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন দু’জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

অনেক মামলা পেরিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির জন্য অভিন্ন সর্বভারতীয় পরীক্ষা (নিট) চালু হয়েছে। এখন আবার প্রথম নিট এবং তার ফলাফল জড়িয়ে গেল বিভিন্ন মামলার জটে! সেই সব মামলা হয়ে চলেছে একাধিক হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টে।

বিতর্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ৭ মে-র ওই পরীক্ষাটাই বাতিল করার দাবিতে চলতি সপ্তাহের সোম ও বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন দু’জন। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি)-র ফল প্রকাশের উপরে গত ২৪ মে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। সেই নির্দেশের উপরে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ চেয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা সিবিএসই।

এ বারের নিটে মূল অভিযোগ, নামে ‘অভিন্ন’ পরীক্ষা হলেও বিভিন্ন ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন মানের প্রশ্ন করা হয়েছে। অনেক ভাষার প্রশ্ন সহজ। তুলনায় কোনও কোনও ভাষার প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের মামলাটিতে ইংরেজি ও তামিল প্রশ্নপত্রের মধ্যে অসামঞ্জস্যের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ দিন সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তের অবকাশকালীন বেঞ্চের সামনে সিবিএসই-র হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মণিন্দর সিংহ। তাঁর বক্তব্য, মাদ্রাজ হাইকোর্টের ওই স্থগিতাদেশের ফলে প্রায় এমবিবিএস এবং বিডিএসে ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কাউন্সেলিং এবং ভর্তির সময়সূচি অবিন্যস্ত হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি। ১২ জুন আবেদনটি শুনবে সর্বোচ্চ আদালত।

কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য ঠিক উল্টো। তাঁরা জানান, অভিন্ন পরীক্ষা বলা হলেও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নিটের প্রশ্নপত্র মোটেই অভিন্ন হয়নি। অন্যান্য ভাষার তুলনায় বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল। অতএব পরীক্ষা বাতিল হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE