জেলা কংগ্রেস সভাপতি রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের ফল যেমন যেমন জানা যাচ্ছিল, তেমন তেমনই বদলাচ্ছিল কংগ্রেস আর বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা কার্যালয়ের ছবি। মঙ্গলবার বেলা ১০টা থেকেই কংগ্রেসের কর্মীরা রায়গঞ্জ স্টেশনের কাছে দলীয় কার্যালয়ে আনাগোনা শুরু করেন। টিভি চলতে থাকে। একটু বেলার দিকে আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত, পবিত্র চন্দরা। বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পটকা ফাটতে শুরু করে। আর বিজেপির জেলা কার্যালয়ের যে ঘরে টিভি রয়েছে, বেলা বাড়তে সেই ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখে যেখানে কংগ্রেসকে উত্তরোত্তর আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। মোহিতবাবু বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাই না।’’
তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের হাতে কংগ্রেস কর্মীরা এই জেলায় মার খেয়েছেন। তাই এখন সেই দলের সঙ্গেই হাত মেলালে, কর্মীরা তা মেনে নেবেন না।
জেলা থেকে এ দিন অন্তত ৫০০ কংগ্রেস কর্মী কলকাতায় রওনা হন আজ, বুধবার রানি রাসমণি রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সভায় যোগ দিতে। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করার লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস।
বিজেপি অবশ্য বসে নেই। বিশেষ করে দাড়িভিট কাণ্ডকে সামনে রেখে ইসলামপুরে নিজেদের ভিত শক্ত করতে চাইছে। ইসলামপুরে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। পুরো জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ৪০ শতাংশের বেশিই। অন্য দিকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘিতে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক গোছাতে তৎপর বিজেপি, তৃণমূল সব পক্ষই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি আদিবাসী ভোট অনেকটাই নিজেদের দিকে টেনেছে বলে দাবি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, ‘‘বিজেপির অরাজকতা পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলেই স্পষ্ট। এ জেলাতেই ভোট পেতে নানা গোলমালের চেষ্টা করে যাচ্ছে।’’ তবে এদিনের ফলে জেলায় কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হতে তা মানতে চাননি তিনি। রায়গঞ্জ লোকসভা আসন তারাই নেবেন বলে দাবি করেন। তবে বিজেপির শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল বিজপির পক্ষে কিছুটা খারাপ। কংগ্রেস তাদের পরিশ্রমের ফসল পেয়েছে। তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy