Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Amartya Sen

৮০ বছর এই বাড়িতেই, অপমান করা খুব সহজ নয়, শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়িতে বসে বললেন অমর্ত্য

‘প্রতীচী’ বাড়ির সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিতর্ক। বিশ্বভারতী বারবার দাবি করে এসেছে, ১.৩৮ একর নয়, ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যের প্রয়াত বাবা আশুতোষ সেনকে।

Amartya Sen

বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অমর্ত্য সেন। বুধবার শান্তিনিকেতনে তাঁর বাসভবন ‘প্রতীচী’তে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বাসুদেব ঘোষ 
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৫
Share: Save:

মাত্র ১৩ ডেসিমাল জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর ‘বিবাদ’ এখনও মেটেনি। সেই প্রসঙ্গে আবার মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করে জানালেন, তাঁকে ‘অপমান’ করা খুব সহজ নয়। বুধবার শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়িতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

জুনের শেষে শান্তিনিকেতনে ফিরেছেন অমর্ত্য। এর পরেই বিশ্বভারতীর কয়েক জন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করেন। এ দিন বিশ্বভারতীর শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও বেশ কিছু পড়ুয়া নোবেলেজয়ীর সঙ্গে দেখা করে জমি বিতর্কে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। অমর্ত্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

এর পরে নোবেলজয়ী বলেন, ‘‘এই বাড়িতে আমি থেকেছি ৮০ বছর। উনি (উপাচার্য) বললেন, এ বাড়ি তোমার নয়। সেটা নিয়ে আমার আফসোস করার কারণ কিছু থাকতে পারে। তার পরে উনি বললেন, এই বাড়ির কিছু অংশ তোমার হতে পারে, বাকি নয়। এটা একটা বড় শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, সমস্ত পৃথিবী আমাদের নিজেদের জিনিস। এটা ভুল হতে পারে। কিন্তু, এর মধ্যে একটা সত্যতা ঠিকই আছে। সমস্ত পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের যে সর্বাঙ্গিক যোগ, এর মধ্যেও একটা বড় সত্য আছে।” একই সঙ্গে অমর্ত্য দাবি করেন বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

‘প্রতীচী’ বাড়ির সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিতর্ক। বিশ্বভারতী বারবার দাবি করে এসেছে, ১.৩৮ একর নয়, ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যের প্রয়াত বাবা আশুতোষ সেনকে। বাকি ১৩ ডেসিমাল জমি অমর্ত্য ‘জবরদখল’ করে আছেন বলে বিশ্বভারতীর দাবি। যদিও ১.৩৮ একর জমিই অমর্ত্যের নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। বিশ্বভারতী জমি দখলের অভিযোগ তুলে চিঠি দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ‘প্রতীচী’তে এসে তাঁর হাতে জমির নথি তুলে দেন।

এর পরেও এ বছর ১৯ এপ্রিল জমি বিতর্কের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হবে বলে বিশ্বভারতীর তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই দিন অমর্ত্য সেনের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় বিশ্বভারতী একতরফা ভাবে ১৩ ডেসিমাল জমি ১৫ দিনের মধ্যে খালি করার নোটিস ঝুলিয়ে দেয় ‘প্রতীচী’র দরজায়। এই নিয়ে পরে বীরভূম জেলা আদালতে মামলা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE