হাওড়াগামী কামরূপ এক্সপ্রেস থেকে ২৪ জন কিশোরী ও যুবতীকে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল সন্দেহ হওয়ায় নিউ জলপাইগুড়িতে (এনজেপি) তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি। পরে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এনজেপি জিআরপির আইসি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এঁদের উদ্ধার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চলছে।’’
পুলিশ ও এনজিও সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম থেকে ওই ২৪ জন কিশোরী ও যুবতীকে নিয়ে কামরূপ এক্সেপ্রেসে অন্ধ্রপ্রদেশের সেকেন্দ্রাবাদে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। ট্রেনে তাঁদের কথাবার্তায় অন্য যাত্রীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই ট্রেনে থাকা রেল পুলিশকে বিষয়টি জানান। তাঁরা এনজেপি জিআরপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে জিআরপি আগে থেকে শক্তি বাহিনী ও কনসার্ন নামে দুটি এনজিওর কর্মীদের ডেকে নেয়। ট্রেন স্টেশনে থামতেই তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ওই যুবতীদের বাড়ি অসমের তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড়ে। অভিযুক্ত মহিলার দাবি ওই মেয়েদের তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন না। কাকতালীয়ভাবে তাঁদের গন্তব্য এক হওয়ায় একসঙ্গে যাচ্ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া কয়েকজন যুবতী জানান, তাঁদের সেকেন্দ্রাবাদে কাজ দেওয়া হবে বলে ওই মহিলা নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এনজিও কর্মীদের ধারণা, তাঁদের সেকেন্দ্রাবাদে নিয়ে যাওয়া হত না। এক এনজিও কর্মী শুভেন্দু সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা ওঁদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।’’ অন্য একটি এনজিওর কর্মী মৌসুমি আইচ জানান, অসমের প্রচুর মেয়েকে এই ভাবে কাজ দেওয়ার নাম করে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রত্যেকের পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। তাঁদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেই চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy