সোনাপুরে মঞ্চের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — বিশ্বরূপ বসাক
বাড়ির কাছেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। কিন্তু সেখানে গরহাজির উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে সেটা লক্ষ্য করে বিস্মিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, গত বিধানসভা ভোটে করিম চৌধুরী হারলেও মাস দু’য়েক আগেই তাঁকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। তাঁর ইসলামপুরের বাড়ি থেকে সোনাপুরের দূরত্ব বড় জোর ৩০ কিলোমিটার। তবুও ‘করিম সাহেব’ কেন অনুপস্থিত, তা নিয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছেও জানতে চান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, করিম চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, প্রাক্তন মন্ত্রী করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এটা নিয়ে এখন কিছু বলব না। যা বলার যথাস্থানে বলব।’’ তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা কয়েকজন দাবি করেন, দলীয় কোন্দলের জেরে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছয়নি।
ঘটনা হল, ওই বৈঠকে উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা তথা রাজ্যের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের একাংশের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই প্রাক্তন মন্ত্রী কিছুটা বিরক্ত। উপরন্তু, দলের জেলা নেতাদের একাংশের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় করিম সাহেবকে অনেক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না বলেও কয়েকজন দাবি করেছেন। অবশ্য পারিবারিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রীর শরীর ভাল না থাকায় তিনি সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন না।
তৃণমূলের জেলাস্তরের একাধিক নেতা তথা জনপ্রতিনিধিদের কয়েক জন এ দিন জানান, দলের মধ্য নানা মতভেদ থাকলেও এ ধরনের বৈঠকে উপস্থিত থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। ওই নেতাদের কয়েকজনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীও ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে না আসাটা ঠিক হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এ দিন ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী করিম চৌধুরীর সঙ্গে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান ও পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানিকেও বাইপাসের কাজ তদারকির নির্দেশ দেন। তবে এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তার বেহাল দশা জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy