‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ গেম।
আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র, বাবার ক্রেডিট কার্ড নিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়ে। হস্টেলে পাঠানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। শেষে দাদু গুয়াহাটি থেকে এসে নাতিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে খেলা ছাড়ান।
পাঞ্জাবিপাড়ার এক তরুণ, কলেজ পাশ করে বাবার ব্যবসায় বসতেই টাকা চুরি শুরু করেন। সেই টাকা দিয়ে অনলাইনে জুয়ার গেমে নাম লেখান। এখন সপ্তাহে দু’দিন রিহ্যাব সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
শিলিগুড়ি শহরে ইন্টারনেটের মারণ গেম ‘ব্লু হোয়েল’-এ এক ছাত্রের আসক্তির অভিযোগ সামনে আসতেই জানা যাচ্ছে এমন নানা ঘটনা। ইন্টারনেটে ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ খেলা দেখে বাথরুমে গিয়ে তা চেষ্টা করেছিলেন শহরেরই এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রী। এই খেলায় শরীরের কোনও অংশে নুন ছড়িয়ে বরফ দিয়ে রাখতে হয়। জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করে কে কতক্ষণ থাকতে পারে, তারই সময় ইউটিউব বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টকরতে হয়।
হাতের তালু প্রায় জ্বলে যাওয়ায় বাবা-মাকে সত্যিটা বলেন ওই ছাত্রী। মোবাইলে রেকর্ডিংও মেলে। উপায় না দেখে মনোবিদের সাহায্য নেয় পরিবারটি।
সব খেলায় প্রাণহানির আশঙ্কা না থাকলেও পড়াশুনোর ক্ষতি, আক্রোশ, একা থাকার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বহু পরিবারেই অশান্তি চলছে। মোবাইল কেড়ে ভেঙে ফেলা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। মেডিক্যাল কলেজের মনরোগ বিশেষজ্ঞ নির্মল বেরা বলেন, ‘‘মদ, গাঁজা, সিগারেটের মত টানা অনলাইন গেম খেলাটা নেশা তো বটেই রোগও।’’ এই নেশা কাটাতে অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন নর্থ বেঙ্গল গার্ডিয়ান ফোরামের সভাপতি সন্দীপন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘একাকীত্ব থেকেই অনলাইন গেম খেলার ঝোঁক বাড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy