তাঁর তফসিলি জাতি’র শংসাপত্র অবৈধ বলে অভিযোগ ওঠায় মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকারকে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠালেন জেলাশাসক। দিন কয়েক আগেই শঙ্করবাবুকে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে পুর নিবার্চনের মুখে এখন তিনি যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ২৮ এপ্রিল নির্বাচন পর্ব না মেটা পর্যন্ত তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, ‘‘তাঁর শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা নিয়েই কথা বলতেই ডাকা হয়েছিল। তিনি সময় চেয়েছেন।’’
নকশালবাড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম কির্তনীয়া শঙ্করবাবুর তফসিলি জাতির শংসাপত্র নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই বিষয়টি নিয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এর আগেও বাম জমানায় একই অভিষোগ তুলেছিল সিপিএম। নিবার্চন কমিশনের কাছে তারা অভিযোগ জানালে সমস্ত কিছু সে সময় খতিয়েও দেখা হয়। ফের এ ব্যাপারে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আসলে শাসক দলের তরফে আমাকে হেনস্থা করার একটা চেষ্টা।’’ শঙ্করবাবুর তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের নয় বলে দাবি করে গৌতমবাবু অভিোগ করেছিলেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১০ সালের অগস্ট মাসে শঙ্করবাবুকে ওই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শঙ্করবাবুকে আইনি জটিলতা থেকে বাঁচাতে তার পরিবারের দুই জনকে এক কয়েক মাস আগে এরকই শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেগুলিও অন্যায় ভাবে করানো হয়েছে বলে গৌতমবাবু দাবি করেন।
একই ভাবে শিলিগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থী রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধেও তাঁর তফসিলি জাতি (সাধারণ) শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। তা নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছেও তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু শংসাপত্র মহকুমাশাসকের দফতর থেকেই দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলার হুমকি দিয়েছেন সিপিএম। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা ওই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হব।’’ অশোকবাবুর দাবি, রঞ্জনবাবু স্কুলে বা কলেজে পার সময় কখনও তফসিলি জাতি বলে পরিচয় দেননি। এমনকী এর আগে একটি নির্বাচনে তিনি সাধারণ প্রার্থী হিসাবেও দাঁড়িয়েছিলেন। রঞ্জনবাবু অবশ্য অশোকবাবুদের ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘ওনারা য়েখানে ইচ্ছে অভিযোগ করতে পারেন। তাতে কোনও আসে যায় না। তাদের প্রার্থী হারবেন বুঝেই তারা এ সব মিথ্যে অভিযোগ তুলে নানা চেষ্টা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy