ব্যবস্থা: ডেঙ্গির প্রভাব বাড়তেই ইংরেজবাজারে ব্যবহার করা হচ্ছে মশা মারার কামান। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মুখে গৌড়বঙ্গে ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। দক্ষিণ দিনাজপুরে সংক্রমণ কম থাকলেও, মালদহে ও উত্তর দিনাজপুরে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ভাদ্রের শেষে টানা বৃষ্টি নিয়ে আরও উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের দাবি, বৃষ্টিতে বাড়ির যত্রতত্র জল জমে থাকে। জমা জলে মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও জমা জল রুখতে প্রচার, কোথাও আবার ডেঙ্গি শনাক্তকরণে ‘ফিভার ক্লিনিক’ খুলে ঢালাও রক্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
মালদহ ও দুই দিনাজপুরে তিন দিন ধরে কখনও ঝিরঝিরে, কখনও আবার ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। জ্বরের সঙ্গে এ বার ডেঙ্গিও চোখ রাঙাচ্ছে। মালদহে এখনও পর্যন্ত ২৩৬ জন ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ইংরেজবাজার শহরের তিন কাউন্সিলর। গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।
ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে উত্তর দিনাজপুরেও। এ দিন পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুরে ৬৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় সাত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সিসিইউ ইউনিটে এক জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। মালদহ মেডিক্যালেও চার জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। দুই জেলার থেকে ডেঙ্গি সংক্রমণ কিছুটা হলেও কম থাকলেও স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ দিনাজপুরও। কারণ, এক সপ্তাহে আট জন সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেঙ্গি রুখতে আসরে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের দাবি, মালদহের শহর এলাকায় ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু করা হয়েছে। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকাতেও রক্ত পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি শনাক্তকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। ফিভার ক্লিনিক খুলে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’ ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান উত্তর দিনাজপুরের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মা। তিনি বলেন, “কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি সচেতনতা মূলক প্রচারও চালানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy