বিপণন: রফতানির জন্য তৈরি হচ্ছে আমসত্ত্ব। নিজস্ব চিত্র
আরও একবার মালদহের আমসত্ত্ব পাড়ি দিল বিদেশে। এবারও সৌজন্যে বিশ্ববাংলা স্টল। আনন্দময়ী মহিলা সঙ্ঘ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেছে ওই আমসত্ত্ব। পাঁচ মাস আগেই আমেরিকায় গিয়েছিল তাদের তৈরি আমসত্ত্ব। এ বার গেল বাংলাদেশে। পরিমাণে মাত্র দশ কেজি হলেও একে সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
মালদহের কোতোয়ালি পঞ্চায়েতের আনন্দময়ী মহিলা সঙ্ঘ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বারোশো সদস্যার মধ্যে অন্তত তিনশো জন আমসত্ত্ব তৈরি করেন। সঙ্ঘ সূত্রেই জানা গিয়েছে, খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের কলকাতা দফতরের মাধ্যমে তাঁদের তৈরি আমসত্ত্ব কয়েক বছর ধরেই কলকাতার বিশ্ববাংলা স্টলে যাচ্ছে ও বিক্রি হচ্ছে। এবারও তাঁরা ৬০ কেজি আমসত্ত্ব পর্ষদের মাধ্যমে পাঠিয়েছে। বিশ্ববাংলার স্টলে বিক্রি হওয়া সেই আমসত্ত্বের মোড়কে থাকছে আনন্দময়ী সঙ্ঘের লেবেল।
সেই লেবেলের ঠিকানা, ফোন নম্বর ধরেই পাঁচ মাস আগে রফিক আহমেদ নামে এক আমেরিকার বাসিন্দা কলকাতা থেকে তাঁদের সাত কেজি আমসত্ত্ব নিয়ে গিয়েছিলেন। এবারও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। আনন্দময়ী সঙ্ঘের কর্ণধার যোগমায়া দাস বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে স্বামীর চিকিত্সার জন্য কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা সুলতানা পারভীন। তিনি কলকাতার বিমানবন্দরে থাকা বিশ্ববাংলা স্টল থেকে আমাদের আমসত্ত্ব কিনেছিলেন।’’ যোগমায়াদেবী জানান, সেই গোপালভোগ আমসত্ত্ব খেয়ে তাঁদের এত ভালো লাগে যে সুলতানা পারভীন আমসত্ত্বের লেবেলে থাকা ঠিকানা দেখে সঙ্ঘের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন। ফোনেই দশ কেজি গোপালভোগ আমসত্ত্বের বরাত দেন এবং সে দিনই টাকাও পাঠিয়ে দেন সঙ্ঘের অ্যাকাউন্টে। কলকাতার যে হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশের ওই মহিলায়। সেখানে লোক পাঠিয়ে মালদহ থেকে বরাত দেওয়া আমসত্ত্ব পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান যোগমায়াদেবী। তিনি বলেন, ‘‘সরকারিভাবে যদি বিপণনের ভালো ব্যবস্থা করা হয় তবে আমরা দেশ-বিদেশে আমসত্ত্ব পাঠাতে পারি।’’ বিশ্ববাংলা স্টলের সৌজন্যে যারা যোগাযোগ করছেন তাঁদের হাত ধরেই আমসত্ত্ব বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলার আমসত্ত্বকে বাণিজ্যিকভাবে সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy