কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু।
রাজ্য সরকার জমি দিলেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু। শুক্রবার দুপুরে সিকিম সফরের পর বাগডোগরা হয়ে তিনি দিল্লি যান। তাঁর আগে বাগডোগরা, কোচবিহারের মত বিমানবন্দরের পরিস্থিতি সম্পর্কে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই) অফিসারদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘জমি রাজ্যের আওতাভুক্ত বিষয়। বিমান ওড়ানো আমাদের। বাগডোগরা খুবই দ্রুত বাড়ছে। এখনই জমি প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। সরকারি স্তরে কথাবার্তা চলছে। জমি পেলেই আমরা কাজ করে দেব। পুরনো পরিকাঠামো অদলবদল করে কাজ করতে হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু তা কতদিন? রাজ্যকেই উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে।’’
বছর দেড়েক হল বাগডোগরার ২৬ একর জমির জট খুলেছে রাজ্যে। সেখানে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) বসানো হয়েছে। যদিও দিল্লির ছাড়পত্র না মেলায় তা এখনও চালু হয়নি। পাশাপাশি, এএআই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে ১৩০ একর জমির চাহিদা রাজ্যকে জানিয়েছে। এলাকায় সরকারি কোনও জমি না থাকায় দু’টি চা বাগানের সঙ্গে রাজ্য কথাবার্তা শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে ৪০/৫০ একরের মত জমির খোঁজ চলছে। কিছু জমি অবশ্য বায়ুসেনার কাছে মিলবে।
নতুন জমির প্রসঙ্গ শুনে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘জট কাটিয়ে ২৬ একর জমি আমরা দিয়েছি। দেড় বছর হয়ে গেল আইএলএস বসেও ছাড়পত্র মেলেনি। ওরা আইএলএস’টা চালু করুক। তাতেই বিমানবন্দরের সময় অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ নতুন জমি নিয়ে গৌতমবাবু জানান, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কাজে দেরি করেন না। পরিবহরণ দফতর, প্রশাসন চা বাগানগুলির সঙ্গে কথা বলছে। আমাদের হাতে থাকলে তো জমি দিতেই দিতাম। কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যও লাগবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এলাকার দু’টি চা বাগানের মধ্যে একটির কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের রাস্তার জন্য নেওয়া জমি অধিগ্রহণ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে রেখেছে। সেটি বিচারাধীন। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়েই মূলত জটিলতা। কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুসারে, ৫ বছরের বেশি সময় চলে গেলে বাজার দরে মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। রাজ্যের তাতে সায় নেই। এখন নতুন জমি নিতে গেলে পুরনো এবং নতুন সব জমিই বাজার দরে রাজ্যকে নিতে হবে। এই জায়গাতেই জট কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। এরমধ্যে বাগডোগরার যাত্রী সংখ্যা বছরে ১৫ লক্ষ ছাড়ানোর পথে।
এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশের ৮০টি ছোট বিমানবন্দরের ‘উড়ান’ প্রকল্পের মধ্যে কোচবিহার রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও বিমানসংস্থা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আর বাগডোগরা সামরিক বিমানবন্দর হওয়ায় আইএলএসে একটু সময় লাগছে। আশা করছি, সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy