—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল বাগডোগরায় গুয়াহাটি-রাঁচি স্পেশাল ট্রেনের স্টপের। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদকে তাঁরা অনেক বার জানিয়েছিলেন। অবশেষে লোকসভা ভোটের আগে বাগডোগরা পেল গুয়াহাটি-রাঁচি ট্রেনের স্টপ। সোমবার তার সূচনা করেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ। সূত্রের দাবি, এই দুই জনপ্রতিনিধি রেলমন্ত্রীকে একাধিক বার এই দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন। এ দিন দু’জনই তার কৃতিত্বের দাবি করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু বাগডোগরায় নয়, শিলিগুড়ির স্টেশনগুলিতে স্থানীয় মানুষ আরও কয়েকটি ট্রেনের স্টপের দাবি তুলেছিলেন। অভিযোগ, এখন একটি ট্রেনের স্টপকেই লোকসভার আগে প্রচারের কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি এবং কার কৃতিত্ব, তা নিয়ে কোন্দলও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক থাকলেও তাঁরা মানুষের উন্নয়ন করতে ব্যর্থ। তাই ট্রেনের স্টপকেই ভোটের আগে উন্নয়ন ধরে নিয়ে প্রচারের চেষ্টা করছেন। মানুষ সবই বুঝতে পারছেন।’’
বাগডোগরায় চেন্নাই-এনজেপি, এবং পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসের এবং নকশালবাড়িতে একাধিক ট্রেনের স্টপের দাবি রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষজন চিঠি দিয়েছেন রাজু বিস্তা এবং আনন্দময় বর্মণকে। তা হলে সেগুলিরও কি স্টপ হবে? রাজুর বক্তব্য, ‘‘বাগডোগরা স্টেশনে আরও যে ট্রেনগুলির স্টপের দাবি উঠেছে, আগামিদিনে সেই ট্রেনগুলিও দাঁড়াবে। আমরা বাগডোগরার অনেক উন্নয়ন করেছি।’’ আনন্দময়ের বক্তব্য, ‘‘সাধ্যমতো মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। একটি ট্রেন স্টপ সব সমস্যার সমাধান হতে পারে না। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতায় থেকেও কেন উন্নয়ন থমকে, নাগরিক পরিষেবা পেতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে কেন, তৃণমূল সে দিকে নজর দিক।’’ বাগডোগরা থেকে প্রচুর মানুষ গুয়াহাটি এবং রাঁচি যান। এত দিন ট্রেন ধরতে তাঁদের এনজেপি যেতে হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy