প্রতীকী ছবি।
নতুন বন্দুক কিনে বৌদিকে তা দেখাতে এনেছিলেন দেওর। সেই সময় ঘটল বিপত্তি। অসাবধানতায় বন্দুকের ট্রিগারে চাপ পড়ে যাওয়ায় গুলিবিদ্ধ হলেন বধূ। বুধবার মালদহের কালিয়াচক থানার নারায়ণপুর গ্রামের ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গুলিচালনায় অভিযুক্ত দেওরকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ বধূর নাম সাহিবা খাতুন। তাঁর বয়স ১৮। স্বামী সারিউল শেখ পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। নারায়ণপুর গ্রামেই তাঁদের বাড়ি। বুধবার দুপুরে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র কিনে বৌদিকে দেখাতে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন তাঁর দেওর সাইদুল্লা হক। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অসাবধানতায় ওই ঘটনা ঘটেছে। বুঝতে না না পেরেই ট্রিগারে একটু বেশি জোরে চাপ দিয়ে ফেলেছেন তিনি। বৌদি পাশে দাঁড়িয়ে থাকায়, সেই গুলি গিয়ে বিঁধেছে বধূর বুকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বধূ গুলিবিদ্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহের একটু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বধূর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও গুলি এখনও বার করা যায়নি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর পরেই বধূকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানান মালদহের হাসপাতালের চিকিৎসক সত্যনারায়ণ শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘গুলি এখনও বধূর বুকেই আটকে রয়েছে। আমরা এখানে যতটা সম্ভব চিকিৎসা করেছি। কিন্তু আমাদের এখানে বুকের সার্জারি করার পরিকাঠামো নেই। তাই অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বধূকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। তবে ওই বধূ বর্তমানে স্থিতিশীল।’’
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাইদুল্লাকে। বন্দুকটি তিনি কোথা থেকে পেলেন, কে তাঁকে কেনার অনুমতি দিয়েছিলেন, ওই বন্দুকটির আদৌ লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘আমরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy