আলিপুরদুয়ারে বিমানবন্দরের ভাবনা। প্রতীকী চিত্র।
এ বার আরও একটি বিমানবন্দর পেতে চলেছে আলিপুরদুয়ার জেলা। এ বিষয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। জানা গিয়েছে, হাসিমারায় যে সামরিক বাহিনীর বিমানঘাঁটি রয়েছে, সেটাকেই বিমানবন্দর গড়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। বার্লা জানান, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর থেকে তাঁর কাছে একটি চিঠি এসেছে।
উল্লেখ্য, হাসিমারা বিমানঘাঁটি বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রণে। এখানকার রানওয়ে লম্বায় ২,৭৪০ মিটার এবং চওড়ায় ৪৫ মিটার। এমন পরিকাঠামো কোড-সি এয়ারক্রাফটের জন্য যথাযথ। সূত্রের খবর, এই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্র রাজ্যের কাছে ৩৭.৭৪ একর জমি চেয়েছে। ওই জায়গায় সিভিল এনক্লেভ তৈরি হবে। এবং এ-৩২০ এয়ারক্রাফট ওঠানামা করতে পারবে।
এখন রাজ্য সরকার জমি দিলেই এই বিমানবন্দর তৈরির কাজ এগোবে বলে জানান বিজেপি সাংসদ বার্লা। স্বাভাবিক ভাবে এই খবরে উচ্ছ্বসিত জেলার পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। হাসিমারায় বিমানবন্দর হলে উপকৃত হবে ভুটান, অসম, কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। দূরযাত্রার জন্য আর বাগডোগরা কিংবা অসমের রূপসী বিমানবন্দরে যেতে হবে না।
এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট টুরিজম আ্যসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব যতটা জমি প্রয়োজন, সেটা যেন দেওয়া হয়। জমি-জট যেন না থাকে। বিমানবন্দর হলে ডুয়ার্সের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়ন হবে।’’
অন্য দিকে, তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের মন্তব্য, ‘‘আলিপুরদুয়ারে বিধানসভায় পাঁচটি আসন বিজেপির দখলে আছে। এখান থেকে সাংসদ এবং বিজেপি পেয়েছে বিজেপি। আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও (জন বার্লা) হয়েছেন।’’ এর পর তাঁর সংযোজন, ‘‘২০২০ সালে সাংসদ হওয়ার পর উনি (জন বার্লা) বলেছিলেন রায়ডাকে সেতু হবে। আলিপুরদুয়ারে স্টেডিয়াম হবে। তার কিছুই তো হয়নি। এখন যদি হাসিমারায় বিমানবন্দর হয়, তবে আমরা স্বাগত জানাব। রাজ্য সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy