‘পেনসিল ব্যাটারি’ বিস্ফোরণে আহত ছাত্র। প্রতীকী চিত্র।
বিস্ফোরণে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র গুরুতর জখম হল। বুধবার দুপুরে বছর তেরোর ওই বালককে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করে পরিবার। বৃহস্পতিবার মেডিক্যালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে।
ওই বালকের বাড়ি রায়গঞ্জ থানা এলাকায়। বিস্ফোরণে তার বাঁ-হাতের দু’টি আঙুলের বেশ কিছুটা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়াও ওই বালকের মুখ, কপাল, চোখ, গলা, বুক-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরিত বস্তুর টুকরো ঢুকে গিয়েছে। ওই বালকের পরিবারের দাবি, ‘পেনসিল ব্যাটারি’ বিস্ফোরণে সে জখম হয়েছে। যদিও তদন্তকারী পুলিশকর্তারা তা মানছেন না। ওই বালক জখম হওয়ার পরেই পরিবারের তরফে কেন ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতারের বক্তব্য, ‘‘ব্যাটারি ফেটে ওই বালক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
বালকের মায়ের দাবি, ‘‘বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলছিল ছেলে। সেই সময় একটি পেন্সিল ব্যাটারি কুড়িয়ে পায় সে। সেটি বাড়িতে আনে। মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে তার লাগিয়ে ওই পেনসিল ব্যাটারি চার্জ করার চেষ্টা করে। তখনই বিস্ফোরণ হয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে আমরা ছেলেকে বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলাম। পুলিশকে জানানোর সময় পাইনি।’’ যদিও একাধিক পুলিশ-কর্তার দাবি, পেনসিল ব্যাটারি খুব কম ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তা ফেটে কী ভাবে বালক এতটা জখম হতে পারে তা নিয়েই সংশয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy