খাস জমি, নদীর চর দখল হলেও তা আটকাতে প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বাসিন্দাদের একাংশ। শিলিগুড়ির চম্পাসারি পঞ্চায়েতের উজানু মৌজায় সুকান্ত কলোনিতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু জমিও এ ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক বার পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজ হয়নি।
অভিযোগ জানানো হয়েছে মহকুমা পরিষদেও। পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন কোথাও সরকারি জমি দখল হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে। অথচ এখানে কেন নেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।’’
মহকুমা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে আগেও এক বার সেখানে অভিযান চালিয়ে কিছু জমি দখল মুক্ত করা হয়েছে। মহকুমাশাসক পানিক্কর হরিশঙ্কর বলেন, ‘‘ভূমি সংস্কার দফতর থেকে রিপোর্ট চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও খোঁজখবর নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সুকান্ত কলোনি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তথা সিপিএম নেতা বিজয়কৃষ্ণ দে বিশ্বাসের অভিযোগ, শাসকদলের কিছু লোকজনই এ সবে যুক্ত। এলাকার একটি আইসিডিএস সেন্টারের অন্তর্গত জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। ডাকনিকাটা মৌজায় পঞ্চনই নদীর ধারের খাস জমিও একই ভাবে দখল হয়েছে। কয়েক মাস আগে সরকারি প্রকল্পে লাগানো চারাগাছ নষ্ট করে ঘর তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
শাসকদলের পাল্টা অভিযোগ, জমি দখলের সঙ্গে সিপিএমেরই কিছু লোক জড়িত। নির্মাণ কাজের ভাঙা অংশ, আবর্জনা পুরসভার সাফাইয়ের গাড়িতে করে ফেলে আইসিডিএস সেন্টারের একাংশ দখল করা হয়েছে। সুকান্ত কলোনি এলাকায় তৃণমূলের বুথ কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত রায়ও সে কথা বলেন। সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy