দেহ রেখে বিক্ষোভ মানিকচকে। — নিজস্ব চিত্র
জোড়া খুনের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের মানিকচকে।
মঙ্গলবার সকালে মানিকচকের মোহনা গ্রামে নিজেদের বাড়ির কাছেই একটি পোলট্রি ফার্মে ওই দম্পতির রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মানিকচক থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে মানিকচক-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। সকাল ৯টা থেকে মোহনা স্ট্যান্ডে অবরোধের জেরে ওই রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিডিও উৎপল মুখোপাধ্যায় ও ওসি পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে অবরোধ তুলে ও মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেন। পুলিশ মালদহ মেডিকেল কলেজে দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বেলা ১২টা নাগাদ ওই রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা স্ত্রীকে অত্যাচার করছে দেখে বাধা দেওয়ায় এবং চিনে ফেলায় প্রমাণ লোপাটের জন্য দুজনকে খুন করা হতে পারে। পুলিশ দ্রুত ঘটনার কিনারা করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে,’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ির কাছেই একটি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। সেখানে চুরি রুখতে তাঁরা দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে রোজ রাতে ফার্মে রাত পাহারা দিতেন। রোজকার মতো রবিবারও রাতে ফার্মে তাঁরা পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত দশটা নাগাদ স্বামী বাড়িতে খেতে এসেছিলেন এবং সেসময় তার স্ত্রী ফার্মেই ছিলেন। সাড়ে দশটা নাগাদ স্বামী ফেরেন। বাসিন্দাদের সন্দেহ, স্বামী না থাকার সুযোগে ওই বধূর উপরে হয়তো দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছিল। স্বামী পৌঁছতেই তাই দু’জনকে খুন করে তারা।
এ দিন সকাল গড়িয়ে গেলেও বাবা-মা বাড়িতে না ফেরায় তাঁদের খোঁজে ফার্মে যায় দুই ছেলেমেয়ে। ফার্মের পাশেই দুজনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা ছুটে এসে প্রতিবেশীদের ঘটনাটি জানায়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য নাসিমা বিবি বলেন, ‘‘ওই মহিলার দেহ যেভাবে পড়েছিল তাতে গ্রামের সকলেরই ধারণা ওই মহিলাকে নির্যাতনের পরই খুন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy