নতুন মুখ একজনও নেই। আগের থেকে কমে গিয়েছে কমিটির আয়তনও। সিপিএমের সদ্যগঠিত দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর ছবিটা এমনই।
শনিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে দলের সদর দফতর অনিল বিশ্বাস ভবনে বৈঠকের পরে ওই নতুন কমিটি গঠন হয়। তার পরে তা নিয়ে দলের অন্দরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। দল সূত্রের খবর, এ বার ১২ জনের সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হয়েছে। আগের বার ছিল ১৫ জনের কমিটি। এ বার ১২ জনের মধ্যে ৯ জন স্থায়ী সদস্য। ৩ জন আমন্ত্রিত সদস্য। ঘটনাচক্রে, এঁরা সকলেই আগের ১৫ জনের সম্পাদকমণ্ডলীতেও ছিলেন।
এতেই দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দার্জিলিং পাহাড় তো বটেই, সমতলেও কি সিপিএমের মধ্যে নতুন মুখের অভাব দেখা দিয়েছে? যদিও সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, ‘‘আসলে আমাদের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী আগে ১৫ জনের ছিল। এ বার ১০ জনের মধ্যে তা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য কমিটি। তাই ৯ জন স্থায়ী সদস্য নিয়ে সম্পাকমণ্ডলী গঠিত হয়েছে। ৩ জনকে আমন্ত্রিত সদস্য রাখা হয়েছে।’’
বর্তমান কমিটিতে জীবেশবাবু ছাড়া স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম, সমন পাঠক, রাধা ছেত্রী, গৌতম ঘোষ, ঝরেন রায়, কে বি ওয়াতার ও পরিমল ভৌমিক। আমন্ত্রিত সদস্য হয়েছেন দিলীপ সিংহ, মুকুল সেনগুপ্ত ও শঙ্কর ঘোষ।
সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, আগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে প্রাক্তন সভাধিপতি অনিল সাহাকে বয়সজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক সদস্য অজিত সরকার প্রয়াত হয়েছেন। সম্প্রতি ছোটন কিস্কু তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ ব্যাপারে শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন-পুরানোর ব্যাপার নেই। যাঁরা কমিটিতে রয়েছেন স্থায়ী ও আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে, সকলেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। বেশির ভাগই বয়সে আমার ও জীবেশের তুলনায় অনেক নবীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy