চালু হল সিসিইউ। নিজস্ব চিত্র
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গে মেডিক্যালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। সেটি সংস্কার করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার চারদিন পরে মঙ্গলবার থেকে তা চালু করা হল। ২৭ সেপ্টেম্বর সিসিইউর একটি ভেন্টিলেটর আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছিল। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিসিইউর পরিষেবা। সেখানে থাকা ১০ জন রোগীর মধ্যে নয়জনকে কাছেই একটি নার্সিংহোমে নেওয়া হয়। একজন মারা যান। ঘটনার সময় মোট ৬ জন ভেন্টিলেশনে ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে ওই নার্সিংহোম থেকে ৭ জন রোগীকে হাসপাতালের সিসিইউতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই রোগীদের মধ্যে একজনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। দু’জন রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তাঁদের নার্সিংহোম থেকে আনা যায়নি। এই ক’দিন ওই রোগীদের রাখার জন্য নার্সিংহোমে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার বিল হয়েছে। তা নিয়ে এ দিন রোগী কল্যাণ সমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। শঙ্কর বলেন, ‘‘একটা বিপদে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছে। তাদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে বিল কমানো উচিৎ। বৈঠকে তা বলেছি।’’ এই টাকা আপাতত রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে দেওয়া হবে। পরে সরকার থেকে তা রোগী কল্যাণ সমিতিকে দেওয়ার কথা বলে জানান সমিতির সদস্যদের একাংশ। সেই সম্মতি পেতে স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ভেন্টিলেটরে আগুন লাগায় ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল সিসিইউ। সেখান থেকে মূমূর্ষু রোগীদের উদ্ধার করে তৎপরতার সঙ্গে অন্যত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে সাতজনকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কৃত করা হবে মেডিসিন বিভাগের সামনে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স বুথের ৩ জন চালককেও। তাঁরাই প্রথমে গিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy