ছুটে আসা ফুটবলের আঘাতে টাল সামলাতে না পেরে চলন্ত মোটরবাইক থেকে পড়ে মারা গেলেন এক বৃদ্ধা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ওই বৃদ্ধার নাম চন্দনা পাল(৫৮)।
বৃহস্পতিবার ডাক্তার দেখিয়ে ছেলের মোটরবাইকে করে শিলিগুড়ির দক্ষিণ ভারতনগর এলাকায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এলাকায় ক্ষণিক সংঘ ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছিল তখন। মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বল গিয়ে তাঁর গায়ে লাগে। বলের গতিতে তিনি চলন্ত মোটরবাইক থেকে পড়ে যান। মাথায় চোট লাগে।
তাঁকে প্রথমে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানানো হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় চন্দনাদেবীকে। পরে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর ছেলে পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট উত্তম পাল অবশ্য সরকারিভাবে কাউকে অভিযোগ জানাবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘‘এটাকে দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছি। আমি নিজেও ওই মাঠেই খেলে বড় হয়েছি। তাই কাউকে খেলা বন্ধ করার কথা বলব কীভাবে? তবে উঁচু ফেন্সিং দেওয়া হলে তাতে এই ধরণের ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’’ আগেও এমন ছোটবড় দুর্ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে বলে এলাকার লোকেরা জানিয়েছেন। তবে জীবনহানির ঘটনা এই প্রথম।
এই ঘটনার পরেই ওই মাঠে ফেন্সিং দেওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে। ক্ষণিক সঙ্ঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানান ক্লাবের সাংষ্কৃতিক সম্পাদক সুজিত বক্সি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকে ফেন্সিংয়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।’’ ক্লাবেরই অপর সদস্য অঙ্কুর দত্তও মাঠে উঁচু বেড়া বা তারজালের ঘেরা দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান।
মেয়র পারিষদ শঙ্করবাবুও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দেখব কিছু করা যায় কিনা। তবে রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে যে দু’লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে, তা না করে প্রয়োজন আছে যেসব ক্লাবের, সেখানে অর্থ দান করলে প্রকৃত উপকার হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy