Advertisement
০৭ মে ২০২৪

পর্যটনে এগিয়ে আসছেন উদ্যোগপতিরা

প্রথম বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলে গজলডোবায় মেগা টুরিজম হাবের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কৌশিক চৌধুরী ও সব্যসাচী ঘোষ
গজলডোবা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৪
Share: Save:

প্রথম বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলে গজলডোবায় মেগা টুরিজম হাবের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত পাঁচ বছরে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বহু কোটি টাকা খরচও হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জমি চুক্তির নিয়মের জেরে এগোননি উদ্যোগীরা। তা মিটলেও পর্যটকরা কী করবেন, তার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। অবশেষে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এ বার তা মেটানোর কাজ শুরু হল।

আগামী বছর পুজোর আগেই পর্যটন দফতরের অতিথি নিবাস চালু করা হবে। বেসরকারি উদ্যোগীদেরও গজলডোবামুখী করতে উদ্যোগী হল সরকার। শুক্রবার দুপুরে গজলডোবার হাওয়া মহলে বিভিন্ন দফতর, পুলিশ, প্রশাসনিক, রেলের আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠকে বসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বেসরকারি উদ্যোগপতিরা আসতে শুরু করেছেন। প্রায় ১১ কোটি টাকায় অতিথি নিবাস ছাড়াও আরও কিছু পরিকাঠামোর কাজ হবে। আগামী ১২-১৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’ মন্ত্রী জানান, নিরাপত্তার জন্য বন্দোবস্ত হচ্ছে। তিনটি হোটেল সংস্থা চুক্তি করে এসেছেন। আরও কিছু গ্রুপের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

বৃহস্পতিবার উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী গজলডোবা নিয়ে আলোচনা করেন। দ্রুত পর্যটকদের আকর্ষণের ব্যবস্থাগুলি করা ছাড়াও ওই অঞ্চলে খাস জমি দখলদারি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সেই মতো এ দিন পর্যটন সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন, পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমবি বালা মুরুগণ-সহ বিভিন্ন দফতরের অফিসারেরা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দু’টি প্রস্তাবিত হোটেলের মালিকপক্ষও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর পর তাঁরাও কাজ শুরু করছেন বলে জানিয়েছেন। আমবাড়িতে ২০ কোটি টাকায় রেলের সঙ্গে পূর্ত দফতরের সমন্বয়ে দুটি ওভারব্রিজ, ওদলাবাড়ি ও ক্রান্তি থেকে বিদ্যুতের লাইন রেল লাইনের ধার দিয়ে গজলডোবায় তৈরি সাব স্টেশন অবধি আনা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আমবাড়ির ওই ওভারব্রিজ দিয়ে নতুন সংস্কার করা রাস্তাটি গজলডোবা হয়ে ক্রান্তি, লাটাগুড়ি যাবে। সেটিরও পুরোদমে কাজ চলছে। পর্যটন সচিব জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত প্রকল্পের খোঁজখবর রাখেন। সমস্যা, জটিলতা কাটিয়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রকল্প এলাকায় রাস্তা, ক্যানাল বাঁধ, বন সৃজন, নিকাশি, বিদ্যুৎ, সৌন্দর্যকরণের কাজ হয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে শুধু রাজ্য যুব কল্যাণ দফতরের প্রস্তাবিত যুব আবাসের। পর্যটন সংগঠন এতোয়ার কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও পর্যটক টানার জন্য সরকার নিজে যে ব্যবস্থাগুলির কথা বলছে, তা খুবই ভাল উদ্যোগ। এতে ভবিষ্যতে শিলিগুড়ি লাগোয়া গজলডোবা জলদাপাড়া বা গরুমারার মতো পর্যটন কেন্দ্র হতেই পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tourism spot Mamata Banerjeee Dream project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE